মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের নারী কর্মীদের মারধরের পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী নিজেই রোকেয়া হলের সভাপতি ও ডাকসু সদস্য বিএম লিপি আকতারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত বেশকিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, শনিবার দিনগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন ছাত্রলীগের আন্দোলনকারীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছেন।
পদবঞ্চিত নেতারা জানান, সংগঠনের বিতর্কিত যেসব নেতার নাম কমিটিতে এসেছে, তাদের বহিষ্কারের সময়সীমা ও মধুর ক্যান্টিনে হামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে টিএসসিতে বসেন তারা। কথা বলার একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তারের কাছে তার আনিত মাদকের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চান।
পরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে গোলাম রাব্বানী লিপিকে মারধর করে। তাকে চড় থাপ্পর দেয়। পরে আন্দোলনকারীদের ঘিরে থাকা রাব্বানীর অনুসারীরা উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় অন্তত ৬ জন আহত হয়। আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর। মারধরের ফলে তার কাঁধের হাড় ভেঙে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি। ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে যা বলার পরে বলব। তবে হামলাকারীদের বিচার করা হবে।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় তোপের মুখে পড়েছেন গোলাম রব্বানী। তাকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ঘিরে ধরে বলছেন, ‘আপনি নিজে কেন মারলেন। অন্যদের দিয়েও হামলা করাতে পারতেন। আপনি কেন মারলেন, কেন মারলেন জবাব দেন। এভাবে মেয়েদের মারধর আর কতদিন? এক সময় কোনো পিতাই আর তার মেয়েকে ছাত্রলীগ করতে দিতে চাইবে। আমরা এই ক্যাম্পাসে শিবির কে পিটাই, ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেই না। আর আপনারা কমিটিতে জামাত শিবির ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।’
ভিডিওতে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের এক নেতাকেও কান্না করতে দেখা গেছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘সেক্রেটারির সামনে জুনিয়ররা আমার গায়ে হাত তোলে। ওদেরকে ডাকো আমাকে আবার মারতে।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ