ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতদের উপর মধুর ক্যান্টিনে সেদিনের হামলার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন নারী কর্মী। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য জারিন দিয়া। তার কোমরের হাড় ভেঙে গেছে বলে জানান তিনি।বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানান ছাত্রলীগ নেত্রী দিয়া। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, মধুর ক্যান্টিনে সেদিনের মারামারিতে কোমড়ে ভীষণভাবে আঘাত প্রাপ্ত হই। দিনে দিনে কোমরের হাড়টি ফুলে যায়।
গতকাল (বুধবার) আল্ট্রাসনো এবং এক্সরেতে ধরা পড়ে কোমরের পাজরের হাড়টি ফ্র্যাকচার হয়ে গেছে। ডাক্তার আমাকে টোটালি বেডরেস্ট দিয়েছে। আমার বাবা মা ফ্যামিলির সবাই খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তারা আমাকে বাড়িতে নিয়ে চলে এসেছে। আপনারা সকলেই আমার জন্যে দোয়া করবেন।’জারিন দিয়া বলেন, ভালোবাসার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে হয়তো অনেক বেশিই ভালোবেসে ফেলেছি। আমি খুব সাধারণ একজন কর্মী। কারোর সাথে কোন শত্রুতা ছিল না কোন দিন। একটা স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে হয়তো আজ অনেক আলোচনা সমালোচনার মুখোমুখি পড়েছি। পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছি বলেই স্ট্যাটাসটা দেই নাই। আসলে জমে থাকা কষ্টগুলো ভিতরে আর রাখতে পারিনি। সত্যি অনেক পরিশ্রম করেছিলাম।
তিনি বলেন, মাকে ধরে যখন কেঁদেছি মার চোখের পানিটাও তখন সহ্য হচ্ছিল না। তাই ক্ষোভ থেকে যদি আপনাদের কষ্ট দিয়ে থাকি পারলে এই ছোট বোনটাকে ক্ষমা করে দিয়েন সবাই। আজ হসপিটালের বেডে অসহ্য শারীরিক (কোমরের পাঁজরে আঘাত) ও মানসিকভাবে আঘাতে দিন কাটাতে হচ্ছে। হয়তো মৃত্যুটা ঘনিয়ে আসছে।
সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হলেও তা নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে কমিটিতে অনেকেই চাকরিজীবী, নিষ্ক্রিয়, বিবাহিত, অছাত্র, মাদক মামলার আসামি, হত্যা মামলার আসামিসহ বিতর্কিতরা স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লেখক : সাবেক কার্যকরী সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)