এবার চূড়ান্ত ত্দন্ত রিপোটে ভেরিয়ে আসলো সত্য ঘটনা পাইলটের যে ভুলে সে দিন বিধস্ত হয়েছিলো ইউএস বাংলার প্লেনটি!

গত বছরের ১২ মার্চ ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি বিমান নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে ৫০ জন আরোহীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনা নিয়ে করা তদন্তে উঠে এসেছে সেই বিমানটির পাইলট ককপিটে বসে সিগারেট খাওয়ার কারণেই নাকি দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

ভারতের নয়াদিল্লিভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিশন গত রোববার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে। প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলন্ত বিমানের ককপিটে বসেই সিগারেট খাচ্ছিলেন পাইলট।

এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশন এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে কোম্পানির ধুমপান নিষিদ্ধের নিয়ম আছে। কিন্তু কামিশনের হাতে আসা তথ্যমতে বিমানটির পাইলট ইন কমান্ড (পিআইসি) ছিলেন একজন ধুমপায়ী। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমান চলাকালীন ককপিটে বসে সিগারেট খাচ্ছিলেন তিনি।’

তদন্ত কমিশন নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর এসব তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত কমিটির ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তদন্ত কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, বিমানটির নিয়ন্ত্রণকারীর অপারগতা ও ক্রু সদস্যদের পরিস্থিতিগত সচেতনতার অভাবেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। চারপাশ উঁচু পাহাড়-পর্বত থাকায় সেখানে বিমান অবতরণ করাতে সতর্ক থাকতে হয়। তাছাড়া বিমান ওঠানোর সময়ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হয়। সেখানকার রানওয়েতে কোনো বিমানই সোজা অবতরণ করতে পারে না।বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, ‘নিয়ন্ত্রণকারীর অপারগতা ও ক্রু সদস্যদের পরিস্থিতিগত সচেতনতার অভাবেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আর সে কারণেই বিমানটি তার সঠিক গন্তব্যে যেতে না পেরে রানওয়েতে নামার জন্য অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।’

কমিটি বলছে, ‘বিমানটি স্বাভাবিক নিয়মে রানওয়ে ছোঁয়ার পথে যেতে দেখা যায়নি। আর সে কারণেই বিমানটি চরম পর্যায়ে এসে রানওয়ে ছোঁয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।’ তাছাড়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের যে ত্রুটি ছিল সেটাও উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।