ড. কামালের সঙ্গে মনসুর-মোকাব্বিরের বাক বিতণ্ডা!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বাইরে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সিলেট-২ আসন থেকে জয়ী মোকাব্বির খান এবং মৌলভীবাজার-২ আসনের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পক্ষে। অথচ জোটের অবস্থান হলো, কেউ শপথ নেবেন না। গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা শপথ নেবেন না। তবে শপথ নিতে অনড় এই দুজন।

এখন তারা ধর্না দিচ্ছে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কাছে। তাদের বক্তব্য, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের জন্য কথা বলতে সংসদে যেতে চাই।

জানা গেছে, সোমবার সকালে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান হাজির হন ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে। সেখানে দেনদরবারে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে তারা উচ্চবাচ্য করেন। এমনকি বাক বিতণ্ডায়ও লিপ্ত হন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যতম নেতা আ ও ম শফিক উল্লাহ।

তবে তিনি দাবি করেন, সোমবার সকালে আমি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ছিলাম। ওই সময় সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান এসেছিলেন। তবে তাদের ড. কামাল হোসেন কী বলেছেন তা বলতে পারাবো না। তিনি জানান, দলের একটি অংশ চায় তারা শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দিলে ভালো হয়। অপর অংশটি চায় তারা যাতে না যায়।

জানা গেছে, শপথের অনুমতি চেয়ে মোকাব্বির খান ড. কামাল হোসেনের কাছে একাধিকবার ধর্না দিয়েছেন। তার যুক্তি আমাকে শপথ নিতেই হবে। কামাল হোসেন তাকে সাফ বলে দিয়েছেন, দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে আমি কিছু করতে পারবো না।

এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সোমবার বিকেলে আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই দুই সংসদ সদস্যের আচরণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের আচরণের খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

গণফোরামের এক নেতা জানান, তারা কয়েকদিন ধরে ড. কামোলের পেছনে লেগে আছেন। তবে ড. কামাল বারবার মানা করে দেওয়ায় ওই দুই নেতা অসন্তুষ্ট হয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করেন। তাদের চেম্বার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।