ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘরে আলোচিত শিশু হালিমা আক্তার (৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশু হালিমার হত্যাকারী আর কেউ নন, শিশুটির চাচাই খুনি। পারিবারিক বিরোধের জেরে রাজমিস্ত্রি আমির হোসেনের মেয়ে হালিমাকে হত্যা করেন চাচা হেলাল।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু হালিমাকে হত্যার কথা হেলাল স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল জানিয়েছেন, চিপসের লোভ দেখিয়ে সেদিন হালিমাকে নিয়ে যান তিনি।
পুলিশ আরো জানায়, হেলাল হালিমার মাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। রাজি না হওয়ায় হেলাল ক্রোধের বশবর্তী হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
পুলিশ জানায়, এক মাস আগে পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরেই শিশু হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন হেলাল। ১০-১৫ দিন আগে বাড়ির পাশের পুকুরে চুবিয়ে হত্যার পরিকল্পনা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর সে রাজমিস্ত্রি কাজের হেলপার রুবেলের সহযোগিতায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
ব্যাপক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আসামি রুবেলই পুলিশকে লাশ শনাক্ত করিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় হালিমার মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার নিজ বাড়িতে খেলার সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিখোঁজ হয় হালিমা। পরে এলাকায় সন্ধান চেয়ে মাইকিং করা হয়। মাইকিং চলাকালেই স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবার জানতে পারে তাদের বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে দুটি ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে পড়ে আছে হালিমার মৃতদেহ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলমগীর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) আবু সাঈদ, সদর মডেল থানার ওসি সেলিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক ও পরিদর্শক সোহাগ রানা।