বাংলাদেশে নষ্ট মোবাইল জমা দিলে মিলবে টাকা

দিন দিন বাড়ছে মোবাইলের ব্যবহার। মানুষের হাতে শোভা পাচ্ছে নিত্যনতুন ফোন। এক সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাতের মোবাইলটি। এ নিয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেকে। কী করবেন নষ্ট মোবাইল নিয়ে। কারণ এটি এমন একটি জিনিস, যেটা সহজেই ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায় না।

এবার এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)। সংস্থাটি বলছে, নষ্ট মোবাইল তাদের কাছে জমা দিলে টাকা পাওয়া যাবে।

এ জন্য দেশের ১০০টি শপিং মলে বুথ করা হবে। যেখানে নষ্ট মোবাইল ফেরত দিয়ে বিনিময়ে টাকা নিয়ে যাবেন এর মালিক। প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচ থেকে ১০টি শপিং মলে এ উদ্যোগ কার্যকর করা হবে। এরপর পুরো দেশে চালু হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে। রাজধানীর কাওরান বাজারের একটি হোটেলে এ বৈঠক হয়। যেখানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ সংশ্লিষ্ট খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বৈঠকে বিএমপিআইএর সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, একটি মোবাইল সেট গড়ে তিন বছরের বেশি ব্যবহার করা যায় না। ফলে তিন বছর পরে এটি ইলেকট্রনিক বর্জ্যে পরিণত হয়। যা পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি করে। যারা নষ্ট মোবাইল ফোন দিতে আসবে, তাদের যদি কিছু টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখাবে না। শিগগিরই আমরা এর কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক বর্জ্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অবনতির দিকে যাচ্ছে।এ দূষণ ঠেকানোর জন্যই নষ্ট মোবাইল সেট সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এটি একটি ভালো ব্যবসার ক্ষেত্র হতে পারে। পুরোনো ও নষ্ট ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম রিসাইক্লিং করা যেতে পারে। এ জন্য শিল্পমালিকেরা এসব ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম কিনে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা সংগ্রহের একটি ব্যবস্থা তৈরি হবে।

মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি মোবাইল নষ্ট হয়। সুত্র: দৈনিক ইত্তেফাক