অবাক হলেও সত্যি যে সকল দেশের মেয়েদের (খৎনা)মুসলমানি বাধ্যতামূলক বিস্তারিত পড়ৃন!

মহিলা যৌনাঙ্গের অঙ্গহানি! আফ্রিকা মহাদেশের ২৭টি দেশ সহ ইন্দোনেশিয়া, ইরাকের কুর্দিস্তান, ইয়েমেন-এই দেশগুলোতে মহিলাদের মুসলমানি একটি ধর্মীয় রীতি হিসেবেই প্রচলিত। আজ থেকে নয়, আধুনিক বিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রায় শতবর্ষ আগে থেকেই এই রীতি মেনে আসছেন বহু মানুষ। আর সংখ্যাটাও একেবারেই নগণ্য নয়!

গোটা বিশ্বের ২০ কোটি মহিলা এই প্রথার ‘শিকার’। অনেকের জীবনও গিয়েছে, অনেকে পঙ্গুত্বের শিকারও হয়েছেন, তবে একবারেই বন্ধ হয়নি মহিলাদের মুসলমানি। ইসলামিক দেশের এই প্রথা নিয়ে ইউনিসেফ অনেকবার সোচ্চার হলেও বারং বারই ব্যর্থ হয়েছে। শিশুকন্যার জন্মের পর থেকে ৪৯ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত যেকোনও সময়েই মুসলমানি করানো হয়।

উল্লেখ্য পুরুষদের ক্ষেত্রে এই মুসলমানি প্রথা বিশ্বের সর্বত্রই প্রচলিত কিন্তু মহিলাদের মুসলমানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অনেক ‘আধুনিক দেশ’। এমনকি এই প্রথার ব্যবহারিক প্রয়োগে কড়া শাস্তি হবে প্রয়োগকারীর এমন ব্যবস্থাও নিয়েছে দেশের সরকার। কমিউনিস্ট দেশ রাশিয়া সেই দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।

সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি বিল আনা হয়েছে, যেখানে মহিলাদের মুসলমানিকে (FGM- Female Genital Mutilation) একটি আইনি অপরাধ হিসেবেই দেখা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন, শাস্তি হতে পারে ১০ বছরের কারাবাস। রাশিয়ার পার্লামেন্টে এই বিলের সপেক্ষে বলা হয়, “সভ্য সমাজে মহিলা যৌনাঙ্গের অঙ্গহানি বা মহিলাদের মুসলমানির মত বর্বর প্রথার কোন স্থান নেই”।

দ্য মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই ‘ইসলামিক বর্বরতা’র বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন রাশিয়ার বহু মানুষ। ‘যৌন ব্যাভিচার’ এবং ‘যৌন বৈষম্য’কে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না, তা রাশিয়ার সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে। মহিলাদের মুসলমানি কেন করানো হয়?

বিজ্ঞানের ভাষায় মহিলাদের মুসলমানি হল নারীর শরীরের ক্লিটোরিস কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া। নারী শরীর থেকে ক্লিটোরিস বাদ দিয়ে দেওয়ার ফলে নারী দেহে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় এমনকি গর্ভধারণেও অসমর্থ হতে পারেন একজন মহিলা। বিজ্ঞানের যুক্তি অনুযায়ী এই প্রথা অস্বাস্থ্যকর। এবার সরাসরি আসা যাক, ইসলামিক ব্যাখ্যায়। যারা এই প্রথা মানেন তাঁদের কাছে ‘যুক্তি’, নারীর যৌন ইচ্ছেকে প্রশমিত করতেই এই প্রথা দরকার। নারীর ‘উচ্চকাম’, ‘শরীরিক চাহিদা’কে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয় তাহলে সমাজ রসাতলে যাবে!