নানার বিকৃত লালসা থেকে রক্ষা পেল না নাতনি,সন্তান প্রসব!

ধর্ষণ আজ এক মহামারীর নাম বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে। ৬ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বৃদ্ধাও রেহাই পাচ্ছেন না ধর্ষণের হাত থেকে। নিজের জন্মদাতা পিতা, সৎ পিতা, শিক্ষক, নিকটাত্মীয় কারো হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ভিকটিমরা। কর্মক্ষেত্রে, চলন্ত বাসে, এমনকি নিজের ঘরে পর্যন্ত নেই নিরাপত্তা। এ যেন এক অন্তবিহীন ঘূর্ণিঝড়ের করাল থাবা।
এবার বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নানা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার নাতনি পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার আপন নানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে যমুনা নদীর চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নানা উপজেলার যমুনা পাড়ের কৈয়াগাড়ি গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে।মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোট চিকাশি মোহনপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্যের মেয়ে কৈয়াগাড়ি গ্রামে ধর্ষক নানার বাড়ি থেকে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। নানার বাড়ির পাশে অফের আলীর ছেলে বকুল মন্ডল (২৩) বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

এ অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়েটি স্কুল থেকে নানার বাড়িতে ফিরে ঘরের ভেতর পোশাক পরিবর্তন করছিল। এ সময় বকুল হোসেন ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে নানা। এ ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা নাতনিকে ধর্ষণ করে। এরপরও ভয় দেখিয়ে নাতনির সাথে একাধিক বার দৈহিক মিলন ঘটায় সে।

এ অবস্থায় মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন ঘটায় তার মা-বাবা চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে মেয়ের অন্তঃসত্বার বিষয়টি টের পায়। পরে মেয়ের মুখে শুনে তার বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করে (মামলা নং ২৪৩ পি)। ওই মামলায় মেয়েটির নানা ও প্রেমিক বকুল মন্ডলকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। এদিকে মামলার পর থেকে রশিদ মন্ডল পলাতক ছিল।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইয়ুব আলী বলেন, আদালতের আদেশে এজাহারটি থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ১ জানুয়ারী বাবার বাড়িতে পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। এ মামলায় নানাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় সনাক্ত করতে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।