আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোটের শরিক দলের শীর্ষ কোনো নেতাকেই নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মন্ত্রিসভায় না থাকায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন তাদের বাদ দিয়েছেন, সে বিষয়ে তারা কেউ অবগত নন বলে জানিয়েছেন শরিক দলগুলোর প্রভাবশালী বিদায়ী মন্ত্রীরা।
রোববার নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার ৪৭ সদস্যের তালিকা ঘোষণা করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। ঘোষণা অনুযায়ী বিদায়ী মন্ত্রিসভায় থাকা সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নতুন মন্ত্রিসভায় নেই। এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুও বাদ পড়েছেন।
এদিকে মহাজোট সরকারের গত দুই মেয়াদে মন্ত্রিসভায় ছিলেন হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। নবম সংসদের শেষদিকে মন্ত্রিসভায় ইনুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় রাশেদ খান মেননকে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হলেও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন টানা দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের মন্ত্রিসভায় তিনজনই স্থান পান।
জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, নতুন মন্ত্রিসভা ১৪ দলের নয়, এটি আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা। সমকালকে তিনি বলেন, শরিক দলগুলোকে কেন মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি, তার কারণ জানেন না তিনি। মন্ত্রিসভা গঠনের আগে-পরে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনাও হয়নি তার। তবে তার মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার নতুন মন্ত্রিসভায় তরুণদের বেশি স্থান দিতে চেয়েছেন। জোট শরিক নেতাদের স্থান না দেওয়ার ক্ষেত্রে হয়তোবা বয়সের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েছেন তিনি। কেননা আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলের অন্য শরিক দলগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশের বয়সই সত্তরের ওপরে।