রাজনীতিতে আসার বিষয়ে গতকাল সাক্ষাৎকারে যা বললেন জয়

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, এখনই সরাসরি রাজনীতিতে আসতে রাজি নন তিনি।

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে দেশে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপস্থাপকের করা এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমার মেয়ে ছোট আছে, স্কুলে পড়ে। ওর সঙ্গে সময় কাটাতে, ওয়াইফের সঙ্গে সময় কাটাতে আমি ভালোবাসি। সেটা ছেড়ে এখন এখানে… রাজনীতি হচ্ছে একটা ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস। আমার পরিবারকে একদম ছেড়ে দিয়ে আমি রাজনীতিতে সরাসরি আসতে এখনও আমি রাজি না।’

জয় বলেন, ‘যে কথা আমি আমার মাকে, আমার ক্রিস্টিনকে বলেছি… ছোট বেলায় আমরা মাকে পাইনি। মা তো ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত থাকতেন। তারপর তখন তো সামরিক আইন ছিল, মাঝে মধ্যে ওনাকে গ্রেফতার করা হতো। প্রথম প্রথম একেবারে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হতো, তারপর অ্যাটলিস্ট হাউজ অ্যারেস্ট থাকতেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমার মেয়ে যত দিন ছোট আছে, ওকে সে কষ্টটা আমি দেব না। আমি ওকে যত সময় পাই, দেব। ও যখন বড় হয়ে যাবে তখন দেখা যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন রাজনীতিতে এলেন তখনকার সময়কার কথা বলতে গিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘তখন খুব ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আমাদের দিন গেছে। বঙ্গবন্ধুর নাম তো উচ্চারণ করাই যেত না, জয় বাংলা উচ্চারণ করা যেত না। যখন আমরা স্কুলে পড়ি, তখন যুদ্ধাপরাধী এবং আমার পরিবারের যারা হত্যাকারী তাদের ছেলে-মেয়েরা তখন স্কুলে পড়ে। তাদের সঙ্গে তখন আমাদের ক্লাস করতে হয়। স্কলাসটিকা। কিছু কিছু টিচার ছিল যে, যতই ভালো পেপার, পরীক্ষা দিই মার্কস কেটে দিতো আমাদের। কিছু ছেলে-মেয়ে, এই যুদ্ধাপরাধীদের ছেলে-মেয়েরা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীর ছেলে-মেয়েরা আমাদের ওপর নিযাতন চালাতো। আমাকে পেটানোর চেষ্টা করতো। ক্লাসের বাইরে আমাকে দুই-তিনজন হামলা করতো। সে কারণেই আমার খালা সিদ্ধান্ত নিলেন আমাদের হোস্টেলে পাঠিয়ে দেয়া উচিত।’