নির্বাচনে সবার দৃষ্টি এখন সর্বকনিষ্ঠ ডা. প্রিয়াংকার দিকে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে বাকি মাত্র একদিন। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দেশে প্রতিক্ষীত নির্বাচন। এবারে নির্বাচনে অংশ নেয়া এক হাজার ৮৪৮ প্রার্থীর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। তিনি শেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। গত ১৮ দিন ধরে শেরপুর-১ আসনের সর্বস্তরের মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি।

সর্বকনিষ্ঠ এই প্রার্থী এরই মধ্যে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন নিজ যোগ্যতায়। তাইতো রাজনীতির নতুন চমক প্রিয়াংকা দিকে সবার দৃষ্টি। আসছে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে এফসিপিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন তিনি। যে কারণে অন্যকোনো দিকেই মনোযোগ ছিল না তার। দিনরাত নিজের পড়াশোনা আর কর্মস্থল নিয়ে ব্যস্ত থাকা প্রিয়াংকার হঠাৎ করেই সব কিছু পাল্টে যায়।

বিএনপি থেকে জানানো হয় আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি দলটি প্রার্থী। ৯৩ সালে জন্ম নেয়া ডা. প্রিয়াংকার বয়স বর্তমানে ২৫ বছরের কিছু বেশি। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিলেও রাজনীতি কখনই আকর্ষণ করেনি প্রিয়াংকাকে।

তবে হঠাৎ করে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রিয়াংকা হযরত আলী শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। প্রিয়াংকা স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবেন। কিন্তু বাবা বলতেন তোমাকে রাজনীতি করতে হবে। অন্যদিকে, টানা ২২ বছর পর বিএনপির প্রার্থী পেয়ে উজ্জীবিত স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরাও।

প্রিয়াংকা ২০০৮ সালে মাধ্যমিক ও ২০১০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর রাজধানী ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেন। ২০১৬ সালে ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। আগামী ৪ জানুয়ারি এফসিপিএস পরীক্ষায় বসবেন তার।

চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। শৈশব থেকেই ডা. প্রিয়াংকার এটাই ছিল লালিত স্বপ্ন। যেকারণে শিক্ষাজীবন শেষ করে চিকিৎসক হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন। বিষয়টি নিয়ে প্রিয়াংকা বলেন, ‘চিকিৎসকতা আমার স্বপ্নের পেশা। বাবা রাজনীতি করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার বাসনা তাই জন্মসূত্রেই। মানুষের জন্য কাজ করব-এ স্বপ্ন থেকেই চিকিৎসকদের বিএনপি সমর্থিত সংগঠন ড্যাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘‌ঘটনাচক্রে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও আব্বু সবসময়ই বলতেন-আমার পরেই কিন্তু রাজনীতিতে আসবে তুমি। কিন্তু সেটি যে এত তাড়াতাড়ি হবে, বুঝতে পারিনি। আব্বুর নামে মিথ্যা মামলা দেয়ায় তার হয়ে আমাকে লড়তে হচ্ছে। আব্বুর সাজানো মাঠটি আমি পেয়েছি। সেই মাঠেই এখন লড়াই করব আমি।’

তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী হুইপ আতিকুর রহমান আতিক বিপক্ষে ভোটের লড়াই করেই জিততে হবে তাকে। এ বিষয়ে ডা. প্রিয়াংকা বলেন, ‘এখানে নিরপেক্ষতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অনেক জায়গায় নেই। চলমান রাজনীতি শুধু সরকারি দলের ক্ষমতায়নের জন্য, বিরোধীদের জন্য না।’