শেষপর্যন্ত সিইসির আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে সভা বর্জন করল ঐক্যফ্রন্ট

নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার (সিইসি) আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে সভা বর্জন করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ও কমিশন মিলে নির্বাচন বানচালের পায়তারা করেছে। সিদ্ধান্ত এখন জনগনের হাতে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশব্যাপী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। তাই সকল প্রার্থীর জন্য ‘সমান সুযোগ’ চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়েছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যেসব নেতাকর্মী আটক হয়েছেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে তালিকা দেয়া হবে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এবং তারা এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন।

এদিকে আজ মঙ্গলবারের (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা এবিএম আবদুস সাত্তার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রচারণা স্থগিতের এই চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিএমপি, পুলিশ হেডকোয়াটার্স, বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়, বিভাগী কমিশনার, জেলা প্রশাসন ও ঢাকা মহানগরের বিএনপির প্রত্যেকটি কমিটিকে দেওয়া হয়েছে।

তবে কী কারণে স্থগিত করা হলো প্রচারণা—এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে আবদুস সাত্তারকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।