ঢাকা-৪ আসনে লাঙ্গলের মিছিল নিয়ে সহজে এগিয়ে গেলেও ধানের শীষের মিছিল যেতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে শ্যামপুরে দুই পক্ষের মিছিল মুখোমুখি হলে এঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সামনে দিয়ে লাঙ্গল দফায় দফায় মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। আর ধানের শীষ পেছনে পড়ে থাকে পুলিশ পাহারায়।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের মিছিলে বাধা দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থী নিজে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ধানের শীষের একটি শান্তিপূর্ন মিছিল করতে চেয়েছিলো। কিন্তু পুলিশ তা করতে দেয়নি। উল্টো বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা শান্তি চাই। কোনো সংঘর্ষ চাই না । সেজন্য নেতাকর্মীরা শান্ত রয়েছে।
তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে অনুরোধ করেন এবং নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামপুর জোনের এসি ফয়সাল মাহমুদ জানান, এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যে কোন ধরণের উত্তেজনা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য আমরা হস্তক্ষেপ করেছি। যাদের আটক করা হয়েছে পরে যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল বের করেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। পুলিশি বাধার কারণে মিছিলটি বাসার সামনে থেকে অগ্রসর হতে পারেনি। এ সময় তাকে বারবার উপস্থিত পুলিশের উর্ধ্বতন পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
একই সময়ে লাঙ্গলের একটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তেজনায় রূপ নেয়। লাঙ্গলের ওই মিছিল থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। তবে পুলিশ মিছিলটিকে সরিয়ে দিলে কোনো ধরনের অনাকঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
এসময় ধানের শীষের নেতাকর্মীরা মিছিল করতে না পারলেও বেশ কয়েক দফা মিছিল করেছে লাঙ্গল প্রতীক সমর্থিত নেতাকর্মীরা। তারা সালাউদ্দিন আহমেদের শ্যামপুরের বাসভবনের সামনে দিয়ে বেশ কয়েকবার মিছিল নিয়ে চলে যায়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।-চ্যানেলআই