আ. লীগে যোগ দিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি

ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে এলেন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা রউফ-উন-নবী ও মাহবুব আলী কুটু। এদের মধ্যে রউফ-উন-নবী ছিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার বিএনপির সভাপতি। সৈয়দ মাহবুব আলী কুটু ছিলেন কোতয়ালি থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।শনিবার রাতে ফরিদপুর শহরের কৈজুরী ইউনিয়নে তুলাগ্রাম মাঠে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় এই দুই নেতার নেতৃত্বে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসেন কয়েকশ নেতাকর্মী।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অন্তত ৩০টি উপজেলায় ব্যাপকভাবে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চলতি ডিসেম্বরের তিন সপ্তাহেই এই সংখ্যাটি ছাড়িয়ে গেছে ৩০ হাজার। প্রতি দিনই বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় এই পক্ষ বদলের ঘটনা ঘটছে।

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রউফ-উন-নবী নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বলেন, ‘৬২ বছরের জীবনে ৪০ বছর বিএনপি করেছি। মনে হচ্ছে ভুল করেছি। আসলে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ পারে দেশের উন্নয়ন করতে। গত ১০ বছর ফরিদপুরের বিভিন্ন উন্নয়নে ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করলাম। মরার আগ পর্যন্ত এই দলের একজন কর্মী হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।’

১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরের সদর আসনে টানা হেরেছে আওয়ামী লীগ। তবে ২০০৮ সালে তিনি ৪৫ হাজার ৫৬৮ ভোটে তিনি হারান তিন বারের সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফকে। এরপর ২০১৪ সালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হন তিনি।

এলজিআরডি মন্ত্রীর ১০ বছরে ফরিদপুরে দৃশ্যমান নানা উন্নয়ন প্রকল্প হয়েছে। চালু রয়েছে আরো বেশ কিছু প্রকল্প। এ কারণে এবার টানা তৃতীয় জয়ের আশায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই নেতা। বিএনপি ছেড়ে আসা নেতাদেরক স্বাগত জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, তিনি স্থানীয় মানুষদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে কাজ করে যাবেন। আর জনগণের সাড়া পেলেই এটা সম্ভব হবে।

কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার ইফতেখার হোসেন ইকু মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত ইবনে সালাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সূত্র: ঢাকাটাইমস