মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের জন্য পুনরায় স্পেশাল পাস চালু, তবে…

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত সকল অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কর্মসূচি থ্রি প্লাস ওয়ান প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ আগস্ট। তারপর থেকেই মালয়েশিয়া জুড়ে শুরু হয় চিরুনি অভিযান। এই অভিযানের কারণে অনেক অবৈধ অভিবাসী দেশে ফেরত যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে পাচ্ছেন না স্পেশাল পাস। এতে করে অনেক অবৈধ অভিবাসীকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

অভিবাসন বিভাগ অক্টোবর থেকে পুনরায় স্পেশাল পাস চালু করলেও জুড়ে দেয়া হয়েছে নানা শর্ত। নতুন এই নিয়মে স্পেশাল পাস নিতে কয়েকটি ক্যাটাগরি অনুযায়ী জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। ১ মাসের কম সময় অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের দৈনিক ৩০ রিঙ্গিত, ১ থেকে ৬ মাস মেয়াদি তাদের জন্য ১হাজার রিঙ্গিত, ৬ মাস থেকে ৩ বছর অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের ২ হাজার রিঙ্গিত, ৩ বছরের বেশি সময় অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের ৩ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে স্পেশাল পাস নিতে হবে। তবে এই জরিমানা দেয়ার পরও অনেকের অভিযোগ ইমিগ্রেশন থেকে স্পেশাল পাস পাচ্ছেন না তারা। অভিবাসী শ্রমিকরা বলেন, ‘দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস দেয়া হলেও ইমিগ্রেশন থেকে স্পেশাল পাস দিচ্ছে না।’

যে সকল অবৈধ অভিবাসীরা নদী পথে মালয়েশিয়া প্রবেশ করেছে অথবা দেশটির অভিবাসন দফতরে কোন ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই তাদের ২৯’শ রিঙ্গিত জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস হতে ট্রাভেল পাস সংগ্রহের পাশাপাশি সাথে সাত দিনের মধ্যে ফিরে যাওয়ার ফ্লাইট টিকিট থাকতে হবে।

অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট, বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পাসসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কাঙ্ক্ষিত স্পেশাল পাস না পেয়ে ফেরত আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগকে দুষছেন দূতাবাসের এই কর্মকর্তা। হায়দার আলি(ট্রাভেল পাস বিভাগ) বলেন,’দেশে যেতে পারছে না তারা এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নাই। তাদের যদি ইমিগ্রেশনে সমস্যা থাকে তাহলে আমাদের কিছু করার নাই।’

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ১২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। এর মধ্য ২ লাখ অভিবাসী অবৈধ। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার অবৈধ শ্রমিককে গ্রেফতার করে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অবৈধ হওয়া এসব শ্রমিকরা পুনরায় দেশে ফেরার সুযোগ পেলেও ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে কাঙ্ক্ষিত স্পেশাল পাস না পাওয়ায় দেশে ফেরত যেতে পারছেন না অনেকেই। তাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ হাইকমিশন যদি দেশটির অভিবাসন বিভাগের সঙ্গে স্পেশাল পাসের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শিথিল ও সহজতর করে তাহলে উপকৃত হবেন এসব শ্রমিকরা।