৩৫ আসনে আ.লীগকে জেতাতে নীলনকশা খুলনায় সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু

খুলনায় পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার দুই সরকারি কর্মকর্তা এই বিভাগের ৩৫টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করার নীলনকশা প্রণয়ন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা-২ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেছেন, তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে ফাঁকা মাঠে গোল করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মঞ্জু।
মঞ্জু বলেন, তিনি জেনেছেন গায়েবি মামলাগুলোর দ্রুত চার্জশিট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। পুলিশ প্রশাসনকে এ ধরনের নির্দেশনা দেয়ার পর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সভায় রাজনৈতিক মামলাগুলোর দ্রুত চার্জশিট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিষয়টি সিইসিকে অবহিত করে এহেন চক্রান্ত যাতে বাস্তবায়ন করতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে মঞ্জু বলেন, ‘কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার জোরদার জোরদার করেছে পুলিশ।’

বিএনপির নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি মেট্রোপলিটন পুলিশ আজ খুলনা সদর থানার পুরনো দুটি মিথ্যা মামলায় চার্জশিট প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। ৫ দিন আগে আমরা খবর পেয়েছিলাম কেএমপিতে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পূর্বের সব গায়েবি মামলার দ্রুত চার্জশিট দিয়ে বিএনপির প্রার্থী ও সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বের করা হবে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তার উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে, যার মধ্যে ১৭০ জন এখনো জেলা হাজতে আটক। আপনার কাছে আমার নিবেদন, নির্বাচনী মাঠ থেকে বিএনপিকে সরানোর এই ষড়যন্ত্র যেন কোনো প্রকারেই বাস্তবায়িত না হয় তার জন্য দ্রুত সিইসিকে অবহিত করে ব্যবস্থা নিন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা নসিরউদ্দিন, জেপি সভাপতি মোস্তফা কামাল, মুসলিম লীগ সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, রেহানা আক্তার, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, নজরুল ইসলাম বাবু, মহিবুজ্জামান কচি, আজিজুল হাসান দুলু, মুজিবর রহমান, ড্যাবের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শেখ মো. আখতার উজ জামান, বিএনপি নেতা ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, এশরামুল হক হেলাল, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, হাফিজুর রহমান মনি, ইশতিয়াকউদ্দিন লাভলু, নাসির খান, রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল আলিম, কাজী মাহমুদ আলী, শাহাবুদ্দিন মন্টু, আকরাম হোসেন খোকন, জামালউদ্দিন মোড়ল, জাহাঙ্গীর হোসেন, নিপুন হোসেন প্রমুখ।