সবচেয়ে ‘গরিব প্রার্থী’ সৈয়দ আশরাফ!

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে আছেন কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন।

এ আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু। তবে বিএনপি আরো দুজনকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেও তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এ আসনে আওয়ামী লীগের দুজন ও বিএনপির একজন ছাড়াও বিভিন্ন দলের আরো পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন, যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এসব প্রার্থীর হলফনামায় উল্লেখিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তিন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ‘গরিব’ অবস্থায় রয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

সূত্রমতে, বেতন ভাতা বাবদ সৈয়দ আশরাফের বাষিক আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নিরাপত্তা জামানতের সুদ ৯৭ হাজার টাকাসহ সব মিলিয়ে তার বছরের আয় ১৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। অথচ সৈয়দ আশরাফ বছরে সংসারের খরচ বাবদ ব্যায় করেন ২৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা বার্ষিক আয়ের চেয়ে ১০ লাখ ১৩ হাজার টাকা বেশি ব্যয় করেন। তাছাড়া, ঢাকার গুলশানে তার একটি বাড়ির মূল্য প্রায় ৫৯ লাখ টাকা। ব্যক্তিগত গাড়ির দাম প্রায় ৫৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে সৈয়দ আশরাফের মোট সম্পতির পরিমান ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৪ হাজার ৬৭৮ টাকা।

অন্যদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের বিকল্প প্রার্থী মশিউর রহমান হুমায়ুন বছরে সংসারের পিছনে খরচ করেন ২ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। যা সৈয়দ আশরাফের আয়ের প্রায় ৮ গুণ বেশি। মশিউর রহমান হুমায়ুন কৃষিবিদ হলেও এই খাতে তার আয় মাত্র ৪৭ হাজার ২০ টাকা। অন্যদিকে ব্যবসা থেকে বছরে আয় করেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। তিনি কৃষিবিদ হলেও হলফনামায় নিজের পেশা ব্যাবসা উল্লেখ করেছেন।

ঢাকায় এম রহমান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। হলফনামায় তিনি নগদ টাকা ১৪ কোটি ৪৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬ টাকা, স্ত্রীর নামে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা, ১৭ লাখ টাকার গাড়ী, ৪০ ভরি স্বর্ণ, ১ কোটি ২১ লাখ টাকা দামের কৃষি জমি ও অকৃষি জমি ৯২ লাখ টাকার। ঢাকায় ৭ তলা বাড়ি যার মূল্য উল্লেখ্য করা হয়েছে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং নিজ এলাকায় হোসেনপুরে রয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি।

অপরদিকে, বিএনপির প্রার্থী রেজাউল করিম খান চুন্নুর হলফনামায় স্ত্রীর নামে ৯০ তোলা ও নিজের নামে ২২ তোলা স্বর্ণ, তিনি রাজনীতিতে আশার আগে ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ ছিলেন। বর্তমানে তিনি আইন পেশায় নিযুক্ত আছেন। ঢাকার গাবতলীতে আশা মটরস লিমিটেড নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার নিজ নামে নগদ ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ৪৭ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে ১০ লাখ টাকা, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার সাড়ে ১৭ লাখ টাকা, নিজের ও স্ত্রীর আলাদা গাড়ীর দাম ১৫ লাখ টাকা উল্লেখ রয়েছে।