এই মাত্র পাওয়া: আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে গুলি চালিয়ে বিএনপির হামলা

আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সবার মাঝেই কাজ করছে এক অন্যরকম উত্তেজনা। তবে এবার নির্বাচনে অনেক কিছুই দেখা যাবে যা আগে দেখা যায়নি। তবে এবার নির্বাচনী প্রচারনায় বেশ কিছু অঘটনাও ঘটে চলেছে।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিএনপির সশস্ত্র লোকজন। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি ও হামলায় আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

তন্মধ্যে গুলিবিদ্ধ ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্যসহ (মেম্বার) পাঁচজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ ১৬ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টার দিকে ইলিশিয়া-ঢেমুশিয়া ব্রিজ এলাকায় এ হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিস্তার করছে।

আহতরা হলেন, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও তিনবারের সাবেক এমইউপি গিয়াস উদ্দিন মেম্বার (৪৮), ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নাজেম উদ্দিন (৪০), ঢেমুশিয়া ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন বাচ্চু (৪২), সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন (৪২), একই ইউনিয়নের যুবলীগের সহসভাপতি মিনারসহ (৩৫) আরো কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে এলাকার পরিবেশ শান্ত হয়। তবে ক্ষুদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। হামলার ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। আওয়ামী লীগ এই ঘটনাকে পরিকল্পিত এবং বিএনপির সশস্ত্র লোকজন এই হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী সড়ক হয়ে সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া থেকে একটি কালো রঙয়ের নোয়া গাড়ি ইলিশিয়া-ঢেমুশিয়া ব্রিজ এলাকায় আসে। এ সময় মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির নেতা ও ঢেমুশিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকুর নেতৃত্বে গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে। হামলার সময় পেকুয়া উপজেলা যুবদল নেতা মুনতাজির কামরান জাদিদ মুকুটসহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।

আহত গিয়াস উদ্দিন মেম্বার অভিযোগ করেন, সকাল ১১টার ইলিশিয়া-ঢেমুশিয়া ব্রিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে অর্তকিতভাবে একদল বিএনপির ক্যাডার হামলা চালায়। এতে তিনিসহ আরো অন্তত ১০জন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছে। হামলার সময় নেতৃত্বে দেন, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবের আহমদ, অর্জন মিয়া, গিয়াস উদ্দিন মেম্বার, নুরুল আমিনসহ শতাধিক বিএনপির লোকজন হামলা ও গুলি বর্ষণ করেন।

ঢেমুয়িা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তম আলী বলেন, বিএনপির সশস্ত্র লোকজনের ন্যাক্কারজনক এই হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিন্তু নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট যাতে না হয় সেজন্য নেতাকর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বারণ করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঢেমুশিয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের অফিসে হামলার ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ভোক্তভোগী অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।