‘নির্বাচনের সুযোগ পাবেন খালেদা জিয়া’

বিএনপি চেয়ারপারস খালেদা জিয়া সংবিধানের আর্টিকেল ৬৬ অনুযায়ী আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আজ বুধবার ‍দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে এসে কায়সার কামাল সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আজ নির্বাচন ভবনে খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করেন ফেনী-১ আসন থেকে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বগুড়া-৬ থেকে আইনজীবী নওশাদ জমির ও বগুড়া-৭ আসন থেকে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

খালেদা জিয়া নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন দাবি করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আইন যদি তার নিজস্ব গতিতে চলে এবং নির্বাচন কমিশন যদি ফেয়ারলি ডিসাইট করেন তবে নির্বাচন কমিশন থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে রায় আসবে। আর্টিকেল ৬৬-তে দেওয়া আছে, সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক (সাজা হলে)। আপিল হচ্ছে, কন্টিনিউয়াস অব ট্রায়াল। খালেদা জিয়ার যে দুটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে দুটিরই আপিল করা হয়েছে। আপিলের রায় এখনো আসে নাই। তা ছাড়া অতীতের অনেক নজিরও রয়েছে। আশা করব, সেসব বিবেচনা করে কমিশন রায় দেবেন।’

এই আইনজীবী বলেন, ‘আইন বহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের মনোনয়ন ফরম বাতিল করেছেন। যেটা সরকারের যড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। আজকে আমরা তিন আইনজীবী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছি।’

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘জাতি তাকিয়ে আছে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া যে নির্বাচন হবে তা হবে প্রহসনের নির্বাচন। দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে ও আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতির জন্য নির্বাচন কমিশন সুবিচার করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

কমিশন যদি আপিলে সুবিচার না করে সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন-এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইন যদি ফলো করা হয়; কমিশন যদি আইন ফলো করেন তবে যে আইনে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি কমিশন আইনগতভাবেই বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অনেক বিতর্ক করেছেন। আমরা আশা করব, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে পক্ষপাত না করে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবেন। বেগম খালেদা জিয়া যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন সে ধরনের ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবেন।’

সূত্র: আমাদের সময়