মওদুদ সাহেব না থাকলে তো খেলা জমবে না: কাদের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মামলা, ঋণ-বিল খেলাপি, স্বাক্ষর জাল, হলফনামায় স্বাক্ষর না করাসহ ছোটখাটো ত্রুটির কারণেও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বাছাই-পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

বাতিলের তালিকায় আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে কাদের সিদ্দিকী, রুহুল আমীন হাওলাদারদের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরাও। এদিকে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের হলফনামায়ও ত্রুটির অভিযোগ উঠেছিল।

বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, তার নির্বাচনী আসন নোয়াখালী-৫ এ বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের হলফনামায় ত্রুটি থাকার পরও তিনি একান্তভাবে চেয়েছিলেন সে নির্বাচনে অংশ নিক। সোমবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, আমার যে নির্বাচনী এলাকা সেখানে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মওদুদ আহমেদ সাহেব। খুব নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল মওদুদ সাহেবের মনোনয়ন দাখিলে কিছু ‘ঘাপলা’ আছে।

‘কিন্তু আমি চাইছিলাম তিনি নির্বাচন করুক। না হলে নির্বাচন তো জমবে না। ওখানে কার সঙ্গে ইলেকশন করব? আমার কিন্তু এই মানসিকতা কাজ করে। উনার প্রার্থীতা টিকে যায় আমি এটা চেয়েছি।’

২০০৮ সালেও এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম আমি কোনো বাধা সৃষ্টি করব না। নিয়ম-কানুনের কোনো বিষয় নিয়ে আমি লড়তে যাব না। এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে যেখানেই বাদ গেছেন, সেখানে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের জন্যই বাদ গেছেন।

১৩ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম তাহলে কিভাবে নির্বাচন করেছে? জানতে চাইলে কাদের বলেন: হাজী সেলিম ১৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে গেছেন। এখানে আওয়ামী লীগেরও সন্দেহ ছিল তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই ওই আসনে দুই জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনী আইনে তিনি টিকে গেছেন এখানেতো আমাদের কিছু করার নেই।

এ সময় তিনি যোগ করেন, মনোনয়ন বাতিল একান্তই নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটি সরকারের এখতিয়ারের বাইরে। তাই যদি না হতো তাহলে আমাদের সবচেয়ে বড় শরিক জাতীয় পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি কি বাদ পড়তেন? আর বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়টি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই বছরের বেশি যারা কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারা নির্বাচন করতে পারবে না। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।