‘২০ দলীয় জোটের পক্ষে নির্বাচনে থাকা সম্ভব হবে না’

বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে নির্বাচনে থাকা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ লেবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। বিজয়ের পথ সুগম করতেই ২০ দলীয় জোটের ৮০ প্রার্থীকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আজ রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন অলি আহমদ।

নির্বাচন কমিশন ‘পোস্ট অফিসে’র দায়িত্ব পালন করছে মন্তব্য করে অলি আহমদ বলেন, ‘আমাদের এ পর্যন্ত ৮০ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ঋণ নেয়নি বা সরকারের নিয়ম মেনে ঋণ পুনঃ তফসিল করেছে এমন প্রার্থীরও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যেভাবে নির্বাচন কমিশন শুরু করেছে তাতে হয়ত শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারি কি না সন্দেহ আছে। কমিশন এখন পোস্ট অফিসের দায়িত্ব পালন করছে। সরকার যা বলে তারা তাই করছে।’

অলি আহমদ বলেন, ‘২০ দলীয় জোটের যারা নমিনেশন জমা দিয়েছে তাদের নমিনেশন জমা দেওয়ার আগে এবং পরে গায়েবি মামলায় আটক করে তাদের জেলে নিক্ষেপ করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াসহ প্রায় ৮০ জন প্রার্থীর নমিনেশন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এমন অনেকের নমিনেশন বাতিল করা হয়েছে যারা বর্তমান চেয়ারম্যান। তাঁরা তাঁদের পদত্যাগপত্র দাখিল করেছে। তাঁদের পদত্যাগ গ্রহণ হোক বা না হোক সেটা সরকারের ব্যাপার। কিন্তু এই অজুহাত দেখিয়ে অনেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’

অলি আহমদ আরো বলেন, ‘আদৌ যারা ঋণ নেয়নি তাঁদের ঋণখেলাপি হিসেবে দেখানো হয়েছে। অনেকে সরকারের বিধি-বিধানে মেনে ঋণ পুনঃতফসিল করেছে। তাঁদেরকেও ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব প্রায় ছয়শো স্বাক্ষর দিয়েছেন। দুই একটি হয়ত এদিক ওদিক হয়েছে। সেটা তো আর সিল মেরে করেনি। রিটানিং কর্মকর্তার উচিৎ ছিল পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে বিএনপির কাছ থেকে এর সত্যতা জেনে অথবা নির্বাচন কমিশনে যে স্বাক্ষর আছে তার সঙ্গে মেলানো। এসব কোন কিছু না করে একতরফাভাবে কাগজগুলো বাতিল করা হয়েছে।’

অলি বলেন, ‘অন্যদিকে শতবার বলার পরও সরকার দলীয় এমপি-মন্ত্রী এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তায় চলাফেরা করছে। এছাড়া আরো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে।