দীর্ঘ ২৭ বছর পর এই প্রথম বগুড়ার কোনো আসনে নেই জিয়া পরিবার!

আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। এ নিয়ে সবার মাঝেই কাজ করছে এক অন্যরকম উত্তেজনা। তবে এবার নির্বাচনে অনেক কিছুই দেখা যাবে যা আগে দেখা যায়নি। আজ থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন বাছাই প্রক্রিয়া। সব হিসাব-নিকাশ শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বরে।

এরই মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে আইনি জটিলতা থাকায় অংশ নিতে পারছে না বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার কারণে দীর্ঘ ২৭ বছর পর বগুড়ার কোনো আসন থেকে জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থেকে বঞ্চিত হলো।

১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বগুড়া-৭সহ দেশের ৫টি সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করে সবগুলোতেই বিজয়ী হন।

ষষ্ট, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে নির্বাচন করেন এবং বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে।

বর্তমানে এ অবস্থায় বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এ দুই আসনে বিএনপির অন্য প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। শাজাহানপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা সরকার বাদল বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। আবার গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা মোর্শেদ মিল্টন বিএপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বগুড়া-৬ আসনে বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বগুড়া পৌরসভার মেয়র একেএম মাহাবুবুর রহমান ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।

চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি অন্য প্রার্থী থাকায় ভোটাররা ধরে নিয়েছে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে অন্য কেউ এই দুই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হবেন।

আর বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য কেউ যদি বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হন তবে দীর্ঘ ২৭ বছর পর বগুড়ায় জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকলো না।

রবিবার যাচাই বাছাইকালে দুটি আসনে প্রাথমিক পর্যায়েই বেগম জিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এদিকে বেগম জিয়ার মনোনয়ন বাতিল হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।