ঢাকা-১৭ এবং ভোলা-১ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। প্রার্থীর হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তার পেশা আইন ও ব্যবসা। তার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা হয়েছে বার-এট-ল ডিগ্রি।
এইচ এম এরশাদের সরকারে সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রয়াত নাজিউর রহমান এবং মা মিসেস রেবা রহমানের ছেলে পার্থ তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ৩১ লাখ ১ হাজার ১৯৬ টাকা এবং ব্যাংকে জমা থাকা টাকার পরিমাণ ৪৩ লাখ ২০ হাজার ৪৫৫। বন্ড, ঋণপত্র এবং তালিকাভুক্ত শেয়ারের মূল্য ১৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। আর রয়েছে একটি গাড়ি, যার মূল্য ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ টাকা।
এছাড়াও রয়েছে ১০০ ভরি স্বর্ণ। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য উল্লেখ না থাকলেও পুরনো আসবাবপত্রের আনুমানিক মূল্য দেখানো হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৫ টাকা।
আর স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে যৌথ মালিকানায় দু’টি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন পার্থ।
পেশা হিসেবে আইন ও ব্যবসা উল্লেখ করেছেন পার্থ। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৭ হাজার ৬৯৬ টাকা এবং আইন পেশা থেকে বার্ষিক ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪ টাকা আয় করেন তিনি।
তবে নিজ মালিকানাধীন ব্রিটিশ স্কুল অব ল শিক্ষক ও বেতন ভাতাদিসহ ১০ লাখ ৪২ হাজার ২৫৬ টাকা দায় রয়েছে তার।
পার্থের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দু’টি ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা সাতটি ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সে তথ্য দেওয়া রয়েছে হলফনামায়।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে নির্বাচন কমিশন ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, রংপুর-৩, চট্টগ্রাম-৯, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম দিয়ে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিভিন্ন কারণে আলোচিত পার্থ প্রয়োজনে খরচ দিয়ে হলেও তার নির্বাচনী এলাকা ভোলা-১ (সদর) আসনে ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণের আবেদন জানিয়ে আবারো আলোচনায় এসেছেন।
২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও ভোলার জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ভোটযন্ত্র ব্যবহারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন পার্থ।
অপরদিকে শুক্রবার সিইসির বরাবর আরেকটি চিঠিতে আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোক্তার হোসেনকে প্রত্যাহার চেয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ভোলার পুলিশ সুপারের (এসপি) বিরুদ্ধে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষ নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে ভেলার পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হোক।–বাংলানিউজ২৪