বিদ্রোহ প্রার্থী হলেন নিজামীর ছেলে নাজিবুর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনার পাঁচটি আসনের তিনটিতে জামায়াতের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং একজন বিএনপির প্রত্যয়ন নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক) আসনে জামায়াতের সাবেক আমির মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন এবং বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. আবদুল বাসেত খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই আসনে নিজামীর ছেলে নাজিবুর দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। আবদুল বাসেত খান জামায়াত সংসদীয় বোর্ড ঘোষিত প্রার্থী।

এ ছাড়া পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পাবনা-৫ (সদর) আসনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসাইন বিএনপির প্রত্যয়ন নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পাবনা জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. জসিম উদ্দিন তাদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন জামায়াতের কোনো কমিটিতে নেই। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল বাসেত খান জানিয়েছেন। তার পক্ষে বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।

এর আগে পাবনার পাঁচটি আসনে জামায়াত সংসদীয় বোর্ড দলের পাঁচ নেতাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। তারা হলেন— পাবনা-১ আসনে ডা. আবদুল বাসেত খান, পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসনে সুজানগর উপজেলা জামায়াতের আমির কেএম হেসাব উদ্দিন, পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে ফরিদপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাপিনুর ইসলাম, পাবনা-৪ আসনে অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল এবং পাবনা-৫ আসনে অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসাইন। পাবনা-২ ও পাবনা-৩ আসনে জামায়াতের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

এ ছাড়া পাবনার পাঁচটি আসনে বিএনপির ১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন— পাবনা-১ আসনে ডা. মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. সালাউদ্দিন খান। পাবনা-২ আসনে একেএম সেলিম রেজা হাবিব, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও আবদুল হালিম সাজ্জাদ। পাবনা-৩ আসনে কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, হাসানুল ইসলাম রাজা, মো. হাসাদুল ইসলাম হীরা ও মো. ফখরুল আযম। পাবনা-৪ আসনে মো. হাবিবুর রহমান হাবিব ও সিরাজুল ইসলাম সরদার এবং পাবনা-৫ আসনে অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও মামুনার রশিদ খান।

পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতা বলেন, ২০ দলীয় জোটের বড় শরিক জামায়াত। বিএনপি জেলার সবগুলো আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। কৌশলগত কারণে একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। তবে জেলার কোনো আসনে এবার জামায়াতের প্রার্থী নাও থাকতে পারে।

জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. একেএম জহুরুল ইসলাম খান বলেন, সারাদেশে যদি জামায়াত ২০ দলীয় জোটের কাছে ১০টি আসনও পায় তবে তার মধ্যে পাবনা-১ ও পাবনা-৫ আসন অবশ্যই থাকবে। এ ছাড়া জামায়াতের পক্ষ থেকে পাবনা-৪ আসনও দাবি করা হবে।

সূত্র : সমকাল