আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেরপুরে-১ (সদর) আসনে নির্বাচন করতে বিএনপিকে নিয়ে গঠন করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার গুঞ্জন ছিল জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিনের। তবে দলের মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার পর সেই পথে আর যাচ্ছেন না তিনি।
ঢাকা টাইমসকে ইলিয়াস বলেন, ‘এই আসন থেকে মহাজোট থেকে নির্বাচন না করে ঐক্যফ্রন্টে যোগদানের কথা ছিল। এই নিয়ে বিএনপি ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতৃস্থানীয় নেতার সাথে কথাও হয়েছিল। তবে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করতে রাজি না হয়ে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আসনটি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে-এমন নয়। ক্ষমতাসীন দল সেখানে প্রার্থী করেছে বর্তমান সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিককে। যদিও ইলিয়াস আশাবাদী, আসনটিতে তিনি ছাড় পাবেন।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মধ্যে এই আসনের ব্যাপারে কথা হয়েছে। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানের উপর আস্থা রেখেই লাঙ্গল পেতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।’
এই আসন থেকে আতিক ১৯৯৬ সাল থেকে টানা জিতে এসেছেন। যদিও ১৯৯১ সালে সেখানে জিতেছিলেন জাতীয় পার্টির জাতীয় পার্টির শাহ বারী চৌধুরী।
তবে এবার আতিক দলের ভেতরের বিরোধিতায় পড়েছেন। তার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভও করেছে নিজ দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। তবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানুর অনুসারীদের পাশাপাশি রাজপথে এসে শক্তি দেখিয়েছেন আতিকের হাজার হাজার অনুসারী।
ছানু ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘শেরপুরের তিন লাখ ৬০ হাজার ভোটার আতিকের মনোনয়নকে মানে না। তাই এই মনোনয়নের পরিবর্তন আমরা চাই। শেরপুরের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মানুষ মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে আমরণ অনশন শুরু করেছে।’