২৩৫ আসনে বিএনপি, ৬৫টিতে শরিক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের জন্য ৬৫টি আসন ছাড়তে চায় বিএনপি। আসন বন্টন নিয়ে অনেকটাই ঐক্যমতে পৌঁছেছে বিএনপি ও জোট নেতারা। পরিস্থিতি বিবেচনায় শরিকদের আরও পাঁচ আসনে ছাড় দিতে পারে বলে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এদিকে মনোনয়ন চুড়ান্ত এমন কিছু নেতাকে গতকাল রাত থেকেই চিঠি দিতে শুরু করেছে বিএনপি।

এর আগে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ দল গণফোরাম ১০০ আসন, আ স ম আব্দুর রবের জেএসডি ২০, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ৩৫টি আর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ১২টি দাবি করলেও তারা তাদের দাবি থেকে সরে এসেছে বলে জানা গেছে।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা যে ৬৫টি আসন ছেড়ে দিতে চায় তার মধ্যে নবগঠিত ঐক্যফ্রন্টের জন্য সর্বোচ্চ ২০টি এবং ২০ দলীয় (সম্প্রসারিত ২৩ দল) জোটের শরিকদের ৪৫টি আসন দেয়া হবে।

যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামকেই ২৪টি আসন দেয়া হবে। তবে জামায়াত প্রথমে ৫৪টি আসন দাবি করে। শেষ পর্যন্ত তারা ৩৫টি আসনে অনড় আছে।

তবে ঐক্যফ্রন্টের কোন দলকে কতটি আসন দেয়া হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। এক্ষেত্রে মান্না ও আ স ম আব্দুর রবকে নিয়ে বেশি ঝক্কি ঝামেলা হচ্ছে। কারণ, তারা যেসব আসন দাবি করছেন তা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ আসন। তবে গণফোরামের বিষয়টি অনেকটাই নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুরে মতিঝিলের ড. কামাল হোসেন এর চেম্বারে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে গণফোরামের বিষয়ে সমাধান আসে।

২৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থীদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ার শেষ তারিখ। সে হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তালিকা চূড়ান্ত করে প্রার্থীদের চিঠিও দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি ও তার জোট এখনো পিছিয়ে আছে।

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল জানিয়েছেন যে, তারা ২৮ নভেম্বরের আগেই জোট ও দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে ইসিতে তালিকা পৌছে দেবেন।

আসন বণ্টনে শরিকরা নমনীয়: এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের প্রধান মান্না জানান, তারা ৩৫ আসন দাবি করেছিল। শেষ পর্যন্ত দরকষাকষি করবেন। তবে একটি সমাধানে পৌঁছবেন বলে আশা করছেন তিনি।

এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল (অব:) অলি আহমেদ বলেন, তারা ‘অন্যায় আবদার’ করবেন না। দলের যোগ্যদের মনোনয়ন চেয়েছেন। এছাড়াও জোটের সব দলকে ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে এমন প্রার্থীদের ছাড় দেবে বিএনপি।