দেশের সকল রাজনীতিক দলের অনুরোধে এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করেতাফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনার। সে অনুযায়ী রাজনীতিক দলগুলো তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে খুব আলোচিত দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এবারের নির্বাচনে অনেকে দল বদল করে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি রোববার রাতে বিকল্পধারায় যোগদান করেছেন। ডা. রফিকুল ইসলাম বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দশধরী গ্রামে তার বাড়ি।
ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সময় ৯৪ হাজার ৪৯৮ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন।
কিন্তু একই আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন দলে ফেরায় কেন্দ্রীয় কমিটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দলীয় মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলায় তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে বিকল্পধারায় যোগদান করেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাব সে লক্ষ্য নিয়ে এতদিন দিনরাত পরিশ্রম করেছি। জেল-জুলুম ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি। যে লোক একযুগ ধরে মাঠে ছিলেন না তাকেই সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমন তথ্য বিশ্বস্ত সূত্রে জেনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারায় যোগদান করেছি।
এর আগে গতকাল মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। এর আগে বিএনপির সাবেক প্রভাবশালী নেতা শমসের মবিন চৌধুরি বিকল্পধারায় যোগ দেন।