চাঁদে রহস্যময় ফোয়ারার উত্তর খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা!

চাঁদের গায়ে ধোঁয়াটে ফোয়ারা। শক্তিশালী টেলিস্কোপে চোখ রাখলেই দেখা যায়। কোনওটা গভীর, কোনওটা অগভীর। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন কফির উপরে ঘন বুদ্বুদ অথবা ভাসমান ঘন মেঘ। কিন্তু এসব কিছুই নয় আদপে। গবেষণা দীর্ঘকালের রহস্যভেদ করল অবশেষে।

লাইভসায়েন্স.কম ওয়েবসাইটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং রুটগার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমন্বয়ী গবেষণায় একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি উদঘাটন করে ফেলেছেন এই রহস্যের।

তাঁদের দাবি, চাঁদের নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র আর অতীতে আগ্নেয়গগিরির অগ্ন্যুৎপাত, এই দুইই মোদ্দা কারণ এই মেঘের।

এই চৌম্বকক্ষেত্রকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘ভূ-চুম্বক’। এর সৃষ্টি প্রায় তিন লক্ষ বছর আগে।

প্রথম পাতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চাঁদে প্রচুর পরিমাণে বরফের সন্ধান দিল ইসরোর যান, উচ্ছ্বসিত নাসা
কিন্তু এই চৌম্বকক্ষেত্র গঠিত হল কীভাবে? পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১২০০ ফারেনহাইট তাপে অক্সিজেন-শূন্য অবস্থায় চাঁদের পাহাড় ভেঙে এক ধরনের তরল লোহা নির্গত হয়। এর চৌম্বকশক্তি খুবই তীব্র।

এখান থেকেই বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে এসেছেন, তিন লক্ষ বছর আগে বিরাট অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল চাঁদে। সেই সময়কার লাভাই ঠান্ডা হয়ে বিস্তীর্ণ ভূমিরূপ গঠন করেছে, যার চৌম্বকশক্তি খুবই বেশি।