আবেগে ভুল করা বিষয়গুলো শুধরে নিবেন যেভাবে

আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ থাকে যারা হুটহাট কাজ করে বসেন। যা মনে আসে তাই বলে দেন। যা দেখে ভালো লাগে তাই কেনেন। প্রেমে পাগল হয়ে সব ছেড়েছুড়ে তার জন্য অসাধ্যসাধন করেন। এ সবকিছু আসে মূলত অতিরিক্ত আবেগ থেকে। এমন নাছোড় আবেগের বশে পড়ে অনেকের বড় বড় ক্ষতি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা থাকে না৷

আবেগে ভুল করা বিষয়গুলো শুধরে নেওয়ার উপায়গুলো হলো:

কাজের আগে সময় নেওয়া: অতিরিক্ত আবেগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার প্রথম ধাপ হল কিছু করে ফেলার আগে একটু সময় নেওয়া৷ কোনও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু করে ফেলার তীব্র আবেগ জাগামাত্র থেমে যান৷ ঠিক করুন, এই মুহূর্তে কিছু বলবেন না বা করবেন না৷ ঘটনার মধ্যে থাকুন৷ দেখুন কী ঘটছে, কে কী বলছেন৷ কিন্তু নিজের মুখে কুলুপ লাগিয়ে দিন৷ হাবভাব ও মুখের চেহারাও যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখুন৷

ভাল করে ভেবে দেখুন: যে কোনও আবেগই কিন্তু সময়ের সঙ্গে কেটে যায়৷ নতুন আবেগ পুরনোর জায়গা নেয়৷ যা কাটে না তা হল ঝোঁকের মাথায় বলে ফেলা কথা বা ভুল কাজ৷ নিজেকে একটু সময় দিলে এই সব ভুলের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন৷

ধৈর্য ধারণ করা: ধৈর্য কম হলে এ রকম পরিস্থিতিতে কিছু না করে চুপ করে বসে থাকা খুব কঠিন৷ কাজেই কী করে ধৈর্য বাড়াবেন তা নিয়েও ভাবনা–চিন্তা করুন৷ ধৈর্যশীল মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা করলে কিছুটা কাজ হতে পারে৷

অস্থিরতা না কাটা পর্যন্ত মতামত না দেওয়া: রাগ, দুঃখ ও অভিমানের ধাক্কা সহ্য করা এক ধরনের মানসিক ব্যায়াম৷ প্রথমে কষ্ট হয়৷ কিন্তু চালিয়ে গেলে আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যায়৷ কাজেই পরিস্থিতি যত বিরূপই হোক, আপনি চুপ করে থাকুন, কিংবা দু’ চার কথায় বিষয়টা বুঝে নিন৷ কিন্তু অস্থিরতা কাটার আগে পর্যন্ত মতামত দেবেন না৷ সিদ্ধান্ত নেবেন না৷

মন ঘুরিয়ে নেওয়া: অস্থিরতা অসহ্য হলে মন ঘোরাতে হবে৷ ভিজ্যুয়াল ইমেজারি এবং সুইচ অফ–সুইচ অন অভ্যাস করুন৷ অর্থাৎ অশান্তির বিষয়টা নিয়ে ভাবা বন্ধ করে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে ভাবা শুরু করুন৷ মন ঘোরাতে ব্যায়াম করা বা আড্ডা মারা চলতে পারে৷ বই পড়তেও পারেন৷ গান শুনতে পারেন৷ অর্থাৎ মন ঘোরাতে যা ইচ্ছে তাই করুন৷ শুধু সেই মুহূর্তে রিঅ্যাক্ট করবেন না৷