বিলম্বে বা বেশি আগে উপস্থিত হওয়া
অনেকেই বোঝে না, ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সময়ানুবর্তিতার জ্ঞান দেখে প্রতিষ্ঠান। এটা প্রার্থীদের অগোচরেই নজরদারি করে। আপনাকে ইন্টারভিউ টেবিলে যখনই বসতে হোক না কেন, সকাল ১০টা বলতে ১০টাতেই উপস্থিত হতে হবে। সামান্য দেরিতে এলেই অফিস জানবে আপনি সময়মতো আসতে পারেননি। আবার বেশি আগে এলেও আপনার সময়জ্ঞান প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই চেষ্টা করবেন একেবারে সময়মতো উপস্থিত হতে। কিংবা মিনিট দশেক আগে আসতে।
অসামঞ্জস্য পোশাক পরা
ইন্টারভিউয়ে পোশাক বাছাইয়ে সচেতন হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে পোশাকের চেয়ে আপনার পারফরম্যান্সই বেশি গুরুত্ব পাবে। কিন্তু চাকরি মেলার আগে আপনার রুচি ও সাধারণ জ্ঞানের পরিচয় ফুটে ওঠে পোশাকে। সাধারণত স্যুট বা এক্সিকিউটিভ শার্ট-প্যান্টে পরিপাটি বেশটাই বেশি গ্রহণযোগ্য। আসলে আপনার কেমন পোশাক পরা উচিত তা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান ও চাকরির ধরনের ওপর।
আগের বস সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করা
চাকরি করে থাকলে তা কেন ছেড়েছেন তা জানতে চাইতে পারেন প্রশ্নকর্তারা। ওই চাকরি আপনি যে কারণেই ছাড়েন না কেন, সমালোচনার সময় সাবধান হতে হবে। হয়তো আগের অফিসের বসের সঙ্গে আপনার বনিবনা হয়নি। কিন্তু ইন্টারভিউয়ে বসে আগের বসের সম্মান নিয়ে টানাটানি ঠিক নয়। এটা কোনো প্রতিষ্ঠানই ভালো চোখে দেখে না
কোনো প্রস্তুতি না থাকা
এটাও বড় ধরনের ভুল। ইন্টারভিউয়ে প্রশ্নের সঠিক জবাব দেওয়াটাই যোগ্যতা প্রকাশের একমাত্র লক্ষণ নয়। আপনার স্মার্টনেসই আসল কথা। চাকরিটা আপনার আসলেই প্রয়োজন কি না তা বোঝা যাবে আপনার প্রস্তুতি কতটুকু তার ওপর। অভিজ্ঞ প্রশ্নকর্তারা সহজেই বিষয়টা বুঝে নেবেন। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের কারবার এবং অন্যান্য তথ্য জেনে নেবেন। যে পদের জন্য আবেদন করেছেন তার সম্পর্কে এটা-সেটা জানতে হবে।