রাতে বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেই ভোর হয়ে যায়! দু’চোখের পাতা আর এক করতে পারেন না? সারাটা দিন ঘুম-ঘুম ঘোরে ক্লান্তির বড় হাই তোলেন। অফিসে কাজের টেবিলে বসে ঢুলে পড়েন? আবার, রাতে বাড়ি ফিরে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, ঘুম ফুড়ুত্! হতে পারে আপনি অনিদ্রার শিকার। বিভিন্ন শিফটে কাজ করার দরুনও আপনার রাতের ঘুম এভাবে চৌপাট হতে পারে। মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে। একটা সময় বাধ্য হয়েই ভরসা করতে হয় ঘুমের ওষুধে।
যদি রাতের ঘুম নিয়ে সত্যি এমন সমস্যায় ভোগেন, গাদাগুচ্ছের ঘুমের ওষুধ না-কিনে সেই টাকায় বাড়িতে ফ্রেশ কলা কিনে আনুন। তাতেই কাজ দেবে। তবে, শুধু কলা খেলে কাজ হবে না। একটু কষ্ট করে বানিয়ে নিতে হবে ‘ব্যানানা টি।’
যেভাবে কাজ করেঃ
কলায় বিশেষত কলার খোসাতেও থাকে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম ঘুমের ব্যাঘাত দূর করে। এর সঙ্গে পটাসিয়াম যোগ হলে, আপনাকে রিল্যাক্স রাখে।
শর্ত আছেঃ
যে কোনো কলা কিনলেই হবে না। চেষ্টা করুন ১০০ শতাংশ জৈব চাষের কলা কিনতে। অজৈব কলায় প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক থাকে। একটু খুঁজলে বাজারে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা কলা দুর্লভ নয়। কৃত্রিম ভাবে অর্থাত্ কার্বাইডে পাকানো কলাও এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত ব্যানানা চা বানাতে যাঁরা কলার সঙ্গে আরও ভালো কাজের জন্য কলার খোসাও দিতে চান, তাঁদের অর্গানিক অর্থাত্ জৈব কলাই কিনে আনতে হবে।
কীভাবে বানাবেনঃ
চা বানানো কষ্টকর কিছু নয়। যে কেউ-ই বানাতে পারবেন। এ জন্য যে যে উপকরণ লাগবে, তা আপনি আপনার কিচেনেই পেয়ে যাবেন। সবকিছু হাতের কাছে থাকলে ১০ মিনিটে তৈরি হবে এই চা। শুতে যাওয়ার আগে আপনাকে চায়ের মতোই পান করতে হবে।
উপকরণঃ
একটা পাত্রে কিছুটা পানীয় জল, একটা অর্গানিক কলা, এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো
কলার দু’প্রান্তের কিছুটা কেটে ফেলে দিন। এবার কলা টুকরো টুকরো করে কেটে পাত্রে রাখা পানি দিয়ে ১০ মিনিট ধরে ফোটান। কিছুক্ষণ রেখে জলটা ছেকে নিন। চায়ের কাপে নিয়ে এর মধ্যে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো মিশেয়ে গরম গরম খেয়ে বিছানায় শুতে যান।
সেদ্ধকরা কলার টুকরো না-ফেলে সেটিও দারুচিনি গুঁড়ো মিশেয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এতে কাজ আরও ভালো হবে। অকারণ অপচয় না-করাই ভালো। শোবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফল টের পাবেন।