যা জানা নারীদের জন্য জরুরি

গর্ভবতী নারী চিত হয়ে ঘুমালে কি তাঁর গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি হয়? বা নারী কী খেলে তাঁর মেনোপজ বিলম্বিত করা যায় কিংবা নারীদের থায়রয়েডের সমস্যা হলে বুঝবেন কী করে –এরকম নানা প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন:

গর্ভবতীরা কেন পাশ ফিরে শোবেন?
একজন গর্ভবতী যখন পাশ ফিরে ঘুমায়, তখন তাঁর গর্ভের সন্তানও আরামে ঘুমায়৷ আর গর্ভবতী চিত হয়ে ঘুমালে বা শুয়ে থাকলে, গর্ভের শিশুটি কিছুটা অস্থির বোধ করে এবং তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়৷ অস্ট্রেলিয়ার অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণা থেকে এই তথ্য জানা যায়৷

নারীর মেনোপজ
যেসব নারী মাছ, ডাল, মরশুঁটির মতো খাবার নিয়মিত খান, তাঁদের মেনোপজ বা রজোনিবৃত্তি দেরিতে হয়৷ ব্রিটিশ গবেষকদের দেয়া এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে জার্নাল অব এপিডেমিলোজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেল্থ৷ তবে যাঁরা কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার, অর্থাৎ ভাত, নুডলস বেশি খান, তাঁদের মেনোপজ তুলনামূলকভাবে এগিয়ে আসে৷ নারীদের স্বাভাবিক নিয়মে মেনোপজ হওয়ার বয়স ৪৫ থেকে ৫৫৷

ঋতুমতির কোনো পরিবর্তন হয় না
ঋতুস্রাব চলার সময়ে মেয়েদের কর্মক্ষমতা বা মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে বলে শোনা যায় ৷ ঋতুমতি এবং ঋতুস্রাবের আগে-পরে এরকম মোট ৮৮ জন নারীকে নিয়ে জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে করা এক সমীক্ষায় তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷ হরমোন এস্ট্রোজেন, প্রোজেসট্রোন, টেসটোসটেরিন মনোযোগ, কর্মক্ষমতা বা স্মৃতিশক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলে না৷ এই তথ্যটি প্রকাশ পেয়েছে ফ্রন্টিয়ার্স ইন বিহ্যাভরিয়্যাল নিওরোসায়েন্স জার্নালে৷

স্তন ক্যানসার রোগীদের হার্ট নিয়ে ভয় নেই!
স্তন ক্যানসার থেকে মুক্তিলাভের পর কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির কারণে নাকি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু ঝুঁকি ছিল৷ জার্মানির ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রের ৩ লক্ষ ৫০ হাজার স্তন ক্যানসার রোগীকে নিয়ে করা গবেষণা থেকে জানা যায় , তাঁদেরও হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতোই ছিল৷

জার্মান নারীদের স্বাস্থ্য
জার্মানিতে প্রতি দশ জন নারীর মধ্যে এক জনের আন্ডারঅ্যাক্টিভ থায়রয়েড রয়েছে, অর্থাৎ তাঁদের থায়রয়েড গ্রন্থি যথেষ্ট থায়রয়েড হরমোন উৎপাদন করে না৷ এর ফলে তাঁদের মধ্যে ঘনঘন ক্লান্তিভাব, সর্দি-কাশি, চুল পড়া, কোষ্ঠকাঠিণ্য, ওজন বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়৷

নারীর সৌন্দর্য
প্রায়ই দেখা যায় নারীরা তাঁদের সৌন্দর্যচর্চায় মুখে ওপর শসার স্লাইস বা মাস্ক লাগিয়ে থাকেন৷ রটারডামের এরাসমুসমুস বিশ্বিবিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষায় জানা যায়, শসার মাস্ক লাগানোর চেয়ে শসা খেলেই বেশি উপকার হয় এবং তা মুখের বলীরেখা দূর হতে সাহায্য করে৷