তিন সতিনের বিরোধের জের ধরে দুই স্ত্রীর সন্তানেরা পিতার মুত্যুর পর স্বীকৃতি অর্জনের চেষ্টা!

স্বামীর মুত্যুর পর স্ত্রীর স্বীকৃতি নিয়ে তিন সতিনের উত্তেজনায় এক সাথে মাসিক ক্রিয়া করতে পারছেনা তাদের গর্ভে জম্ম নেয়া পাঁচ সন্তান। জানা যায়, হাটহাজারী উপজেলার নন্দীরহাট ব্রাক্ষণ পাড়া এলাকায় বসবাস করতেন অনিল দে।

প্রায় ৩৪ বছর আগে অনিল দে বিয়ে করেন সন্ধ্যা রানী নামে এক মহিলাকে। তার গর্ভে জম্ম নেয় দুই পুত্র সন্তান। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় স্বামীর ঘর ত্যাগ করে সন্ধ্যা রানী ছোট বাচ্চাদের ফেলে উধাও হয়ে যায়। ছোট ছোট দুই বাচ্চা নিয়ে বিপাকে পরে অনিল। আবার বিয়ের পিড়িঁতে বসতে হয় তাকে। দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন রাউজান পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের নেলী রাণীকে। নব বিবাহীতা দ্বিতীয় স্ত্রী সতিনের দুই পুত্রকে লালন পালনের পাশাপাশি তার গর্ভে জম্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। তার নাম রাখেন তাপস দে টনা। দ্বিতীয় বিয়েও বেশি দিন ঠিকেনি অনিলের। মাত্র চার বছরের মাথায় নেলী দে অনিলকে ছেড়ে চলে আসে বাপের বাড়ি রাউজানে। নেলী সতিনের ঘরের দুই পুত্রসহ নিজের গর্ভে জম্ম নেয়া সন্তানদের দায়িত্ব নিয়ে অভাব অনটনে দীর্ঘ সময় অতি বাহিত করেন। এই অবস্থায় অনিল তৃতীয় বারের মতো বিয়ে করেন জিনু রাণী নামে এক মহিলাকে। তার গর্ভে জম্ম নেয় এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। হঠাৎ প্রথম স্ত্রী সন্ধ্যা রাণীর আগমন ঘটে অনিলে ঘরে। নেলী রাণীর দায়িত্বে থাকা প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান মায়ের আগমন ঘটলে তারা ফিরে যায় মায়ের কাছে। সন্ধ্যা রাণী পূনঃ উদ্ধার করতে চায় রেখে যাওয়া সাজানো সংসার। এই নিয়ে সংসারে শুরু হয় বিবাদ ও কলহ। দুই সতিনের ঝগড়া ঝাটিতে অতিষ্ট হয়ে পড়ে অনিল।

এই অবস্থায় অনিলের তৃতীয় স্ত্রী জিনু রাণী বাধ্য হয়ে অনিলের ঘর ছাড়তে হয়। চট্টগ্রাম সিটি করর্পোশানে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী অনিল দে প্রথম স্ত্রীর সাথে সংসার করলেও বিবাহিত অপর দুই স্ত্রীর সাথে সর্ম্পক ছিল ভাল। ছেলে মেয়েদেরর খোঁজ খরব নিতেন সব সময়। গত ১৮ আগস্ট হঠাৎ মৃত্যু বরণ করেন অনিল দে। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আগের বিবাহীত দুই স্ত্রীসহ সন্তানেরা উপস্থিত হয়। তিন স্ত্রীর পুত্ররা মিলে মিশে সৎকার করেন প্রয়াত অনিল দেকে। কিন্তু মাসিক ধর্মীয় ক্রিয়া কর্ম নিয়ে আমার দেখা দিয়েছে তিন সতিনের বিরোধ। প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের ইচ্ছা কোন সতিন মাসি ক্রিয়ায় আসতে পারবে না। তবে সন্তানেরা আসতে পারবে এবং ক্রিয়া কর্ম করতে পারবে। দ্বিতীয় স্ত্রী নেলী দে জানান, স্বামীর মৃত্যু হয়েছে শেষ বিদায়ের কর্ম যজ্ঞে আমি থাকতে চায়। আমাকে বাধা দিচ্ছে আমার বড় সতিন। অথচ ফেলে চলে যাওয়া তার সন্তানদের লালন পালন করেছি আমি। দ্বিতীয় স্ত্রীর এক মাত্র সন্তান তাপস দে টনা জানান, আমার মাকে ছাড়া আমি বাবার ক্রিয়া করবো না। প্রয়োজনে রাউজানে মামার বাড়িতে সব ধর্মীয় রীতি মেনে বাবার সদগতি কামনায় ক্রিয়া করবো। এ প্রসঙ্গে প্রথম স্ত্রীর সন্তান শিমুল দে জানান, আমার সৎ ভাইদের নিয়ে ক্রিয়া করবো এক সাথে। তবে এখানে সৎ মায়েরা উপস্থিত থাকতে পারবে না। এটা সামাজিক সিন্ধান্ত। আমার সিন্ধান্ত না। আশা করছি ওরা আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বাবার আত্বার শান্তি কামনা করবে।