অবশেষে জানা গেলো যত টাকার বিনিময়ে গুজব ছড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী নওশাবা বিস্তারিত পড়ুন

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে কান্নাকাটি করে উত্তেজিত হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন। অস্থির হয়ে বলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই। একটু আগে ঝিগাতলায় আমাদেরই ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসঙ্গে হোন প্লিজ। ওদেরকে প্রোটেকশন দেন, বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে, প্লিজ। আপনারা রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন এবং ওদেরকে প্রোটেকশন দেন।’ সারা ফ্ল্যাট ঘুরে ঘুরে, চেহারায় আতংকের ছাপ ফুঁটিয়ে বলা এসব কথা সারা দেশে তুমুল আলোড়ন তোলে।

এই উসকানিমূলক লাইভের পর শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলা চলাকালে শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, সে সময় অনেকের হাতে লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়া করে। এসময় ধানমন্ডি-জিগাতলা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পরবর্তীতে দেখা যায়, কাজী নওশাবা লাইভে যেসব তথ্য দিয়েছেন তার সব কটিই মিথ্যা। শিক্ষার্থীরাও সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের ভুল স্বীকার করে। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে র‍্যাব নওশাবাকে গ্রেপ্তার করে। র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে নওশাবাও স্বীকার করেন তিনি লাইভে ভুল তথ্য দিয়েছেন। নওশাবার দাবি অনুযায়ী, রুদ্র নামের এক ছেলে তাকে শিক্ষার্থী মৃত্যু ও চোখ উপড়ে ফেলার সংবাদ দিয়েছে। এরপরই লাইভে আসেন তিনি।

কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ভিন্ন আলোচনা। আলোচনার বিষয়বস্তু, কোনো ভুল তথ্য পেয়ে নয়, বরং টাকার বিনিময়ে গুজব ছড়িয়েছেন নওশাবা। নওশাবা একজন অভিনেত্রী। লাইভে অভিনয়ও করেছেনও দুর্দান্ত। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এত চমৎকার অভিনয়ের জন্য কত টাকা নিয়েছেন নওশাবা? টাকার বিনিময়ে নওশাবার লাইভে আসার বিষয়টিতে অনেকে নিঃসন্দেহ হলেও টাকার অংকটা কত তা নিয়ে অবশ্য মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নওশাবা লাইভে এসে গুজব ছড়িয়েছেন। কেউ বলছেন, এত কম টাকায় এত রিস্ক নিয়ে আবার কেউ অভিনয় করে নাকি! টাকার অংকটা অন্তত হবে ৫০ লাখ। অনেকে আবার দেড় কোটির মতো বিশাল অংকের কথাও উল্লেখ করেছেন।

নওশাবা আসলেই টাকা নিয়ে গুজব ছড়িয়েছেন কী না অথবা নিলেও কত টাকা নিয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে। তবে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে মুখরোচক আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে।

সুত্র:ভোরেরপাতা