স্যার পাঠাচ্ছি কিন্তু কথার কোনো মূল্যে নেই, প্রাণ গেল তিনজনের

পাড়ার ছোট শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো সহোদরের। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায় শিশু সিফাত। তাকে উদ্ধার করতে যায় দুই ভাই। এতেই মারা যায় শিশুটিসহ ওই দুই ভাই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ট্যাংকটির পাশে দীর্ঘদিন ধরেই বৈদ্যুতিক তার ঝুঁকিপূর্ণভাবে পড়ে ছিলো। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, শুক্রবার ( ১০ আগস্ট) বিকেলে ডিজেল কলোনীর মসজিদের পাশে ক্রিকেট খেলছিলো শিশুরা। এক পর্যায়ে বল নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে পড়লে তা তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সিফাত নামের এক শিশু। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে সহোদর বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা বলেন, ‘আমি ৯৯৯ কল করেছি। সরকারি কোনো সাড়া পাইনি। আমাকে বলেছে, স্যার পাঠাচ্ছি। কিন্তু আমার কথার কোন মূল্যে দেওয়া হয়নি।’ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ি ওসি মো. জহির উদ্দিন জানান তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বৈদ্যুতিক তার ঝুঁকিপূর্ণভাবে ছিলো। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছেন।

এদিকে দুর্ঘটনায় মসজিদ কমিটির দায়িত্বে অবহেলা ছিলো কিনা বিষয়েটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বল জানিয়েছে পুলিশ। সিএমপি উপ-কমিশনার আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, ‘খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস আগে সেপটিক ট্যাংকটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর ঢাকনা দেয়া হয়নি।