গাজীপুরে স্বামীকে বেঁধে রাতে স্ত্রীকে ধর্ষণ !

গাজীপুরে স্বামীকে বেঁধে- বর্তমান সমাজে ধর্ষণ একটি আতংকের নাম। সারাদেশে ধর্ষনের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিজের মেয়েও। ধর্ষণকে অপরাধই মনে হচ্ছে না লম্পটদের কাছে । এবার গাজীপুরে ঘটল ভয়ংকর এক ঘটনা স্বামীকে বেধে রেখে স্ত্রীকে রাতে ধর্ষণ জানা গেছে

স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার মধ্যে রাতে সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ির দেওলিয়া বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী অটোরিকশা চালক স্বামীর সঙ্গে ওই এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

স্বামী তানজিরুল ইসলাম জানান, সোমবার একই এলাকার কাঞ্জু মাতাব্বরের ছেলে সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন (৩০) তাকে অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি করতে বলে।

কথা না শোনায় আলতাফ ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সহযোগী আখের মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (৪০) ও রাজমিস্ত্রি কামাল হোসেনের ছেলে আশিক মিয়াকে (২৫) নিয়ে বাসায় এসে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ধরে নিয়ে যায়।

কিছুক্ষণ পর সাফাত উল্লাহ রুবেল (৪০) নামে আরেক যুবককে একই অপরাধে ওই তিনজন ধরে নিয়ে আসে। পরে আরিফের বাড়ির পাশে তানজিরুল ও রুবেলকে হাত-পা বেঁধে তিনজন মিলে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।

একপর্যায়ে আলতাফ হোসেন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভাড়া বাসায় গিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে তানজিরুলের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। চলে যাওয়ার আগে একথা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।

তানজিরুল আরও জানান, স্থানীয়রা বুধবার তাকে ও রুবেলকে উদ্ধার করে। বাসায় গিয়ে স্ত্রীর কাছে ধর্ষণের কথা জানতে পারেন তিনি। পরে তিনি ঘটনাটি স্থানীয় কাউন্সিলর সেলিম রহমানকে জানান।

স্থানীয় কাউন্সিলর সেলিম রহমান জানান, আলতাফ খুবই খারাপ প্রকৃতির ছেলে। তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলে না। আলতাফসহ তিনজনই মাদকাসক্ত ও চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তিনি তানজিরুল ও তার স্ত্রীকে থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, মারপিটে তার স্বামী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনিও অসুস্থ। তাই শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একটু সুস্থ হলে থানায় অভিযোগ করবেন।

জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোবারক হোসেন বলেন,আলতাফ কাশিমপুর কারাগারের প্রধান কারারক্ষী ও এক পোশাক শ্রমিকসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর মাসখানেক আগে সে জামিনে বের হয়েছে।

পরিদর্শক মোবারক হোসেন বলেন, আলতাফের বিরুদ্ধে ধর্ষনের কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। কাউন্সিলর ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে ঘটনার শুষ্ঠ তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন বিন্দু মাএ ছাড় পাবেনা।