সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ডা. মনীষার ওপর হামলা

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জালভোটের প্রতিবাদ করায় বাসদের নারী মেয়রপ্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তীর (মই) ওপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সকালে বরিশাল সিটিতে বিএম কলেজকেন্দ্রে বাসদের মেয়রপ্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী ভোট দিতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জেলা বাসদ সভাপতি ইমরুল হাকিম রুমন জানান, পৌনে ১০টার দিকে ডা. মনীষা চক্রবর্তীসহ সদর গার্লসকেন্দ্রে গেলে তিনি দেখেন ব্যালটে আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে সিল মারছে। তাৎক্ষণিক রিটার্নিং অফিসারকে সংবাদ দেন তিনি।

এ সময় জালভোটের প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের দুই কর্মী মনীষাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১২৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। এর মধ্যে ৫৫টি ভোটকেন্দ্র অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সিটির ভোটের নিরাপত্তায় পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ৩০টি মোবাইল টিম ও ১০টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।

এ ছাড়া র‌্যাবের ৩০টি টিম ও ১৫ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এর বাইরে ৪ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে সাত মেয়রপ্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে বশিরুল হক ঝুনু নামে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। বাকি ছয় মেয়রপ্রার্থী মাঠে রয়েছেন। বরিশাল সিটিতে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টিতে ও একটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বাকি ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৯১ জন ও ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬, যার মধ্যে পুরুষ এক লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ ও নারী ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন।