ঔষধ খাইয়ে স্যারের রুমে ‘নগ্ন’ হয়ে ঘুমাতে বাধ্য করত আন্টি, সকালে সারা শরীরে……

ভারতের একটি হোমে গৃহহীন, অনাথ মেয়েদের নিয়ে গিয়ে গোপনে খাবারের মধ্যে নেশার ওষুধ মিশিয়ে তাদের ‘নগ্ন’ হয়ে ঘুমাতে বাধ্য করে তাদের দিয়ে যৌনকর্ম করানো হতো। কেউ তার বিরোধিতা করলে তাকে মারধোর করা হতো। হোমটি সেবা সংকল্প এবং সমিতি নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাত বলে জানা যায়, যার প্রধান এই ব্রজেশ কুমার ঠাকুর। গৃহহীন, অনাথ মেয়েদের এই হোমে পাঠানো হতো।
হোমটি অবস্থিত ভারতের মুজফ্ফরপুর। গত শনিবার একটি মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর পরই জানা যায়, মোট ৩৪ জনকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

১০ বছরের এক নাবালিকা একটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, তার খাবারে নেশার ওষুধ মিশিয়ে দেয়া হতো। সেই খাবার খেয়ে তার মাথা ঘুরত। তাকে ব্রজেশ স্যারের ঘরে ঘুমাতে যেতে বাধ্য করত হোমের আন্টি।

সকালে ঘুম উঠে সে দেখতো তার শরীরে তার পোশাক নেই।অন্য আরেক এক নির্যাতিতা জানান, পোকা মারার ওষুধ বলে তাকে জোর করে একটি ওষুধ খেতে বলা হতো, যা খেয়েই তারা ঘুমিয়ে পড়ত।

সকালে উঠে তার সারা শরীরে খুবই ব্যথা হতো।জানা গেছে, গৃহহীন, অনাথ মেয়েদের এই হোমে পাঠানো হতো। এই হোমটি সেবা সংকল্প এবং সমিতি নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাত বলে জানা যায়, যার প্রধান এই ব্রজেশ কুমার ঠাকুর।

এর আগে, প্রতিবেশীরা কখনো কখনো মেয়েদের চিৎকারের শব্দ শুনতে পেলেও অভিযোগ জানানোর সাহস করেনি।পুলিশের ধারণা, গত ৫ বছরে প্রায় ৪৭০ জন মেয়েকে এই হোমে নিয়ে আসা হয়।

ইতোমধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।