স্যার আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতো, আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গা

বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী এ অভিযোগ করেন।

স্কুলের ১৭ জন শিক্ষক এনামুল কবির রিপনের বিরুদ্ধে ডিসি অফিস, স্কুল পরিদর্শক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে গেলে শুক্রবার (১৮ জুলাই) মিম (ছদ্মনাম) নামের ওই ছাত্রী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে।

মিম জানায়, সে রিপনের স্ত্রীর কাছে প্রাইভেট পড়তো। এতে রিপন স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করতো। এমন ঘটনায় রিপন একবার স্ত্রীর কাছে ধরাও খেয়েছে।

মিম বলে, ‘স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরত, আমি ছাড়াতে পারতাম না। তারপর স্যার আমাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গা স্পর্শ করত। আমি বাধা দিলে, স্যার বলত কেন তুমি কিছু বুঝ না? একদিন স্যারের স্ত্রীর কাছে ধরা পরে যান তিনি। পরে তিনি তার স্ত্রীকে বলে মিম ভয় পেয়েছে তাই জড়িয়ে ধরেছি।’

মিমি আরও জানায়, ২০১৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময়েও স্যার শ্রেণিকক্ষে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতো।

মিম বলে, ‘একদিন কোচিং এ অংক ক্লাসে আমি পেছনের বেঞ্চে বসে ছিলাম। ওই সময় তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমি অংক করতে পারা সত্বেও, বুঝানোর উসিলা করে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আমি বাধা দিলে তিনি আমাকে বলে তুমি কিছু বুঝ না? পরে আমার আম্মু স্যারের বাসায় বিচার নিয়া

গেলে সে কোরআন শরীফ ধরে এ কথা অস্বীকার করে।’
এদিকে একাধিকবার এনামুল কবিরের মোবাইল ফোন ও স্কুলের ফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, এনামুল কবির তার স্কুলের একাধিক ছাত্রীকে এমন লাঞ্ছনা করেছেন। এ কারণে অনেকে স্কুল ছেড়ে চলে গিয়েছে। শুধু তাই নয় তার বিকৃত যৌন আক্রোশ থেকে রেহাই পায়নি স্কুলের একাধিক নারী শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।