হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে প্রতিদিনই যাচ্ছে হজ ফ্লাইট। সৌদি আরবে পৌঁছার পর বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে হবে হজযাত্রীদের। এসব জায়গায় ঝামেলামুক্ত থাকতে জেনে নিন কিছু পরামর্শ।
জেদ্দা বিমানবন্দর
বিমান থেকে নামার পর যেতে হবে জেদ্দা বিমানবন্দরের একটি হলঘরে। সেখানে হজযাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এই হলঘরের পাশেই ইমিগ্রেশন কাউন্টার। অবতরণ কার্ড, হেলথ কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি কাগজপত্র হাতে রাখলে ভালো। ইমিগ্রেশন পুলিশ ভিসা দেখে পাসপোর্টের নির্দিষ্ট পাতায় সিল দেবে। বিমানের বেল্ট থেকে মালামাল নিয়ে নিরাপত্তা-তল্লাশির জন্য তা দিতে হয়। তারপর মোয়াল্লেমের কাউন্টার। সেখান থেকে মিলিয়ে নিতে হবে কার অধীনে কোন হজযাত্রী সৌদি আরবে এসেছেন। প্রত্যেক মোয়াল্লেমের নির্দিষ্ট নম্বর থাকে।
হজ টার্মিনাল
হজযাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হয় হজ টার্মিনাল। শুধু জিলকদ, জিলহজ ও মহররম মাসে এটি চালু থাকে। এই টার্মিনালের স্থপতি ‘এফ আর খান’ নামে পরিচিত বাংলাদেশের ফজলুর রহমান খান। মোয়াল্লেম নির্ধারণ হওয়ার পর লাল-সবুজ পতাকা অনুসরণ করে ‘বাংলাদেশ প্লাজা’য় যেতে হবে। হজ টার্মিনালের ‘বাংলাদেশ প্লাজা’য় অপেক্ষা দীর্ঘ হতে পারে। সেখানে অজু ও নামাজের ব্যবস্থা আর বসার জন্য চেয়ার রয়েছে।
মোয়াল্লেমের বাস জেদ্দা থেকে মক্কায় নির্দিষ্ট বাড়িতে নামিয়ে দেবে। মোয়াল্লেমের নম্বর (আরবিতে লেখা) সংবলিত কবজি বেল্ট দেওয়া হলে তা হাতে পরে নিতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র (পিলগ্রিম নম্বর, নাম, হজ এজেন্টের নাম ইত্যাদি) গলায় ঝোলানো জরুরি। জেদ্দা থেকে মক্কায় পৌঁছাতে লাগে দুই ঘণ্টা। মক্কায় পৌঁছে ক্লান্ত থাকলে থাকার জায়গায় মালপত্র রেখে বিশ্রাম করুন। বিশ্রাম শেষে নিয়ত করে থাকলে দলবদ্ধভাবে ওমরাহ পালন করুন। নামাজের ওয়াক্তে নামাজ আদায় করতে হবে।
মসজিদুল হারামে প্রবেশ ও বের হওয়া
মসজিদুল হারামে তথা কাবা শরিফে প্রবেশের অনেক ফটক আছে। সবই দেখতে প্রায় একইরকম। কিন্তু প্রতিটি প্রবেশপথে আরবি ও ইংরেজিতে ১, ২, ৩ নম্বর ও প্রবেশপথের নাম লেখা আছে। আগে থেকে ঠিক করতে হবে কোন প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকবেন বা বের হবেন। সফরসঙ্গীকেও সেই স্থান চিনিয়ে দিন। সঙ্গী হারিয়ে গেলে নির্দিষ্ট নম্বরের ফটকের সামনে থাকতে হবে। ফলে ভেতরে ভিড়ে হারিয়ে গেলেও নির্দিষ্ট স্থানে এসে সঙ্গীকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
কাবা শরিফ
কাবা শরিফে জুতা-স্যান্ডেল রাখার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকা জরুরি। নির্দিষ্ট স্থানে জুতা রাখতে হবে। যেখানে-সেখানে জুতা রাখলে পরে খুঁজে পাওয়া কঠিন। জুতা রাখার প্রতিটি র্যাকে নম্বর আছে। এই নম্বর মনে রাখতে হবে। চাইলে জুতা বহনের ব্যাগও সঙ্গে রাখা যায়।