বিয়ের প্রলভনে দিনের পর দিন বিধবা নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমনকি পুলিশের গাড়ির মধ্যেও ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের এ কর্মকর্তা বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এমনকি বিয়ের দাবি নিয়ে তার দফতরে গেলে ওই নারীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
ভারতের দক্ষিণ২৪পরগনার বারুইপুর জেলার অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার সন্দীপ মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন এক নারী। কলকাতার আনন্দপুর আরআর প্লটের বাসিন্দা ওই নারীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে নির্যাতিতা নারী গত মঙ্গলবার ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ সুনীল চৌধুরীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নির্যাতিতা নারীর দাবি, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে যখন সন্দীপ মণ্ডল খড়্গপুরের এসডিপিও পদে নিযুক্ত ছিলেন, তখনই ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। ফেসবুকে কথা বলার একপর্যায়ে তাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। এরপর ফেসবুকের গণ্ডি ছাড়িয়ে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। আর সেখানেই বিধবা ওই নারীকে গভীর ভালোবাসার কথা জানান সন্দীপ বাবু।
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে ওই নারীর সঙ্গে কলকাতায় পুলিশের গাড়ি নিয়েই দেখাও করতে যান সন্দীপ মণ্ডল। দীর্ঘক্ষণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির পর ফাঁকা গাড়ির মধ্যেই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় ওই নারী বাধা দিতে গেলে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
পরে ওই নারীর বাড়িতে এসে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেও বিয়ের কথা বলেন। এরপর একাধিকবার একইভাবে গাড়ির মধ্যেই নারী সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তাদের মধ্যে। এদিকে ইতিমধ্যে সন্দীপ মণ্ডল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি হয়ে গেছেন। ওই নারী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতেই তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন তিনি। ফোনে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন।
ওই নারী বিধাননগরে তার অফিসে গিয়ে দেখা করলে ফের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কিন্তু কোনোভাবেই ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাননি পুলিশ কর্মকর্তা সন্দীপ। বছরখানেক আগে সেখান থেকে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) হিসেবে বদলি হয়ে আসেন তিনি। অভিযোগ, এখানে এসেও একইভাবে ওই নারীকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। কিছু দিন আগে বারুইপুরে সন্দীপ মণ্ডলের দফতরে আসেন ওই নারী।
অভিযোগ, সেখানে এলে তাকে মারধর করে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি তাকে খুনের হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ ওই নারীর। সূত্র: এবেলা।