দেহ ব্যবসা! এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এমনটা অনেকেই মনে করেন। তাদের মতে, দেহ ব্যবসাই প্রাচীনতম। কিন্তু, এতো দীর্ঘ সময় পেরিয়েও সমাজের সবচেয়ে উপেক্ষিত শ্রেণির এই পেশার নাম- দেহ ব্যবসা!
এই শব্দটি শুনলেই তথাকথিত ‘অভিজাতরা’ কানে আঙুল দেয়। এ কারণে যৌনপল্লি অনেকের কাছে এখনো ‘নিষিদ্ধপল্লি’। আগের দিনে দেহ ব্যবসা সাধারণত একটি নিদিষ্ট এলাকা বা স্থানে হতো।
সম্প্রতি জানা গেলো, আকাশেও চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা! আর কাস্টমার হলো- বিমানের টাকাওয়ালা যাত্রী! দিনের পর দিন এই ভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে আসছিলেন এক বিমান সেবিকা! অবশেষে এই এয়ারহোস্টসের কীর্তি ফাঁস হয়েছে!
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের এক তরুণী বিমান সেবিকা উড়ানের পর বিমানের টয়লেটে ধনী যাত্রীদের সঙ্গে দেহ ব্যবসা করে নিজের ভাগ্য বদল করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের এক এয়ারলাইন্সে বিমান সেবিকা হিসেবে কাজ করতেন এই থাই সুন্দরী। গত দুই বছরে বিমান আকাশে উড়ার পরেই যাত্রীদের সঙ্গে টয়লেটে যৌন ব্যবসা করতেন ওই নারী। এটি করে ওই সুন্দরী নারী এখন পর্যন্ত এক কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়টি ওই থাই-সুন্দরী স্বীকার করে বলেছেন, বহু যাত্রীর সঙ্গে চলন্ত বিমানের টয়লেটে তিনি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। বিশেষ করে উপসাগরীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দীর্ঘ বিমান যাত্রায় এটি বেশি হতো। এসব ঘটনা কোন এয়ারলাইন্সে হতো তা প্রকাশ করা হয়নি।
তবে এ ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ওই তরুণীকে বরখাস্ত করেছে।
সম্প্রতি রাই আল ইয়াওম নামে আরবী ভাষার একটি ওয়েবসাইটে এই ধরনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ওই তরুণী গাল্ফ এয়ারে কাজ করতেন। বিমানের যাত্রীদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জের অংশ হিসেবে তিনি এক কোটি ডলার কামিয়েছেন।
সেখানে আরও বলা হয়, প্রতিবার যৌন সম্পর্কে ওই থাই তরুণী বিমান সেবিকা এক একজন যাত্রীর কাছ থেকে দুই হাজার ডলার করে নিতেন।
তবে প্রতিবেদনে তরুণীর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি। গত দুই বছরে তরুণী বিমানের টয়লেটে যাত্রীদের সঙ্গে কমপক্ষে ৫০০ বারের মতো যৌন সম্পর্কে মিলিত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।