মাত্র তিন বছরের শিশুর সাথে একি করলেন শিক্ষিকা! ধরা পড়ল সিসি টিভিতে

শিক্ষিকা একজন সমাজের আদর্শ ব্যক্তি। মহান এক পেশা হল শিক্ষিকা। কিন্তু এই শিক্ষিকা যদি কখন এমন কোন কাজ করে যা খুবই অমানবিক তাহলে প্রশ্নবিদ্ধ হয় পুরো শিক্ষক জাতি। ছাত্রের বয়স তিন বছর। ঘরের দরজা বন্ধ করে সেই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করলেন গৃহশিক্ষিকা। ঘরে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় গোটা ঘটনা ধরা পড়ে। পরে যা ‘ভাইরাল’ হয় দেশ জুড়ে। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়, কলকাতার লেক টাউন থানা এলাকায় এই ঘটনায় সোমবার অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকা পূজা সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করে ছয়মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে বিধাননগর আদালত।

ওইদিনই অবশ্য ওই গৃহশিক্ষিকা জামিন পেয়েছেন। পূজা সিংহের আইনজীবী ইন্দ্রকান্ত ঝা জানান, তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, সাজার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করতে তারাও উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন।

প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ২০১৪ সালের ২২ জুলাই। শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহশিক্ষিকা পূজা সিংহকে গ্রেফতার করে লেক টাউন থানার পুলিশ। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। সোমবার সেই মামলায় পূজা সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন এসিজেএম শুভ্রসোম ঘোষাল।

শিশুটির পরিবারের পক্ষে দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ জুলাই লেক টাউন থানা এলাকার বাসিন্দা ওই শিশু ছাত্রটিকে পড়াতে যান গৃহশিক্ষিকা পূজা। এসময় ঘর থেকে শিশুটির মা শালিনীকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন পূজা। কিছুক্ষণ পরে ছেলের কান্নার আওয়াজ পান শালিনী। তাদের ঘরে সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল।

সন্দেহ হওয়ায় ড্রয়িং রুমের কম্পিউটার খুলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তিনি দেখেন, ছেলেকে ‘নির্মম’ ভাবে মারছেন পূজা। এর পরে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন শালিনী। কিন্তু পূজা প্রথমে দরজা খোলেননি। পরে দরজা খোলায় শালিনী দেখেন, তার ছেলে বিছানায় পড়ে রয়েছে। কেন ওকে মারা হয়েছে জানতে চাইলে পূজা জানান, তিনি মারেননি। ছেলেটি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

শালিনীর আরও অভিযোগ, ওই ঘটনার পরেই বিকেলে পূজার স্বামী তাদের বাড়ি আসেন এবং মারধরের ঘটনা যাতে কাউকে না জানানো হয়, তার জন্য হুমকি দেন। তদন্তে নেমে পূজাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। শিশুটিকে মারধরের ঘটনার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই তা ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়।