গালিগালাজ জুটল স্বামীর কাজের পারিশ্রমিক চাইতে গিয়ে। কথায় কথায় বলতেন, তিনি সিভিক পুলিশ, ফলে কেউ তার কিছু করতে পারবে না।কারোরই প্রতিবাদ করার সাহস নেই।আর তুই প্রতিবাদ করতে আইছত। তার প্রতিবাদ করায় ভাদ্দরবউয়ের চুল কেটে নিলেন খুড়তুতো ভাসুর। লাভ হল না ভাসুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও। অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার হওয়ায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। অগত্যা একেবারে জেলা পুলিশ সুপারেরই দ্বারস্থ হতে হল নির্যাতিতাকে।
অভিযোগ, অহিদুল ঠিক মতো টাকা দিত না তার ভাইকে। স্বামীর পারিশ্রমিকের টাকা চাইতে মায়ারুলের স্ত্রী বাধ্যত অহিদুলের বাড়িতে যান। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অহিদুল গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন বধূটি। ব্যস, তাতেই তার চুল কেটে শাস্তি দেওয়া হয়।ওই মহিলার বক্তব্য, তার ভাসুর বাড়িতে ঢুকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। কথায় কথায় বলতেন, তিনি সিভিক পুলিশ, ফলে কেউ কিছু করতে পারবে না। কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারবেন, এমন কথাও বলতেন বলে অভিযোগ।
ভয়ে ওই মহিলার শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা স্বামী মুখ খুলতেন না। কিছু দিন আগে তার স্বামী নিজে ট্রাক্টর কিনে চালাতে শুরু করেন। তাতেই নাকি ভাসুরের রাগ বেড়ে যায়।অভিযোগ, শুক্রবার সকালেও বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করছিল অহিদুল। তার প্রতিবাদ করায় মহিলার মাথা ধরে দেওয়ালে ঠুকে দেয়। এর পর কাঁচি দিয়ে তার চুল কেটে দেয়।
কাটা চুল নিয়েই মল্লারপুর থানায় যান তিনি। লিখিত অভিযোগও করেন অহিদুলের বিরুদ্ধে। কিন্তু অভিযুক্ত ওই থানারই সিভিক ভলন্টিয়ার হওয়ায় পুলিশ তাকে ধরছে না, বক্তব্য নির্যাতিতার। তাই সোমবার ডাকযোগে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ পাঠান নির্যাতিতা। জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল জানিয়েছেন, অভিযোগ হাতে এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।