অভিজাত এলাকা। ব্যস্ত সড়কের পাশে বিশাল ভবন। ভবনের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি পরিত্যাক্ত কক্ষ। ওই কক্ষগুলোতে কেউ যেতে চান না। সেগুলো পরিষ্কারের জন্য চেষ্টা চলছিল দীর্ঘ দিন। ভবনটি প্রায় ১৫০ বছর পুরনো। ভিতরে পরিত্যাক্ত কক্ষগুলোতে বেশ কিছু লকার রয়েছে। লকারগুলি কারো নামেও নয়। এমন তিনটি লকার ভেঙ্গে পাওয়া গেল ৬৭০ কোটি টাকার সম্পদ।
ভারতের বেঙ্গালুরুর সেন্ট মার্কস রোড। শহরের অভিজাত এলাকার এই সড়কের পাশেই ধনীদের ক্লাব বোরিং ইনস্টিটিউট। বের পরিত্যক্ত লকারগুলি নিয়ে দীর্ঘদিন বিব্রত ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বারবার নোটিশ দেয়া হলেও কোনো সদস্যই লকার নিতে রাজি হয়নি।
অবশেষে শুক্রবার বাধ্য হয়েই লকার ভাঙতে শুরু করেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু লকার ভেঙ্গে হতভম্ব হয়ে পড়েন তারা। ক্লাবের ব্যাডমিন্টন কোর্টের তিনটি লকার ভেঙে পাওয়া গেছে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৭০ কোটি টাকার সম্পদ। এর মধ্যে আছে জমির দলিল, স্বর্ণ ও হিরে, চার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা ও দুই কোটি ভারতীয় টাকা।
৬৯, ৭১ এবং ৭৮ নম্বরের লকারের মধ্যে এসব সম্পদ পাওয়া যায়। পরে অবশ্য স্থানীয় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী অবিনাশ অমরলাল কুকরেজা সম্পদের মালিকানা দাবি করেন। তবে তার দাবি এখনো বিশ্বাস করেনি স্থানীয় আয়কর বিভাগ। তারা সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে।