পাকিস্তান আমলের গুপ্তধন রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুরের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমনকি সেই বাড়ির একটি ঘরে খননকাজও শুরু হয়। কিন্তু প্রথম দিনের খোঁড়াখুড়িতে কিছু তো মেলেইনি উল্টো ঝুঁকিতে পড়ে যায় বাড়িটি। শেষমেষ বাড়ির ঝুঁকির কথা ভেবে দুই মণ স্বর্ণ খোঁজার চেষ্টায় আপাতত ক্ষান্ত দেয়া হয়েছে। যার ফলে দ্বিতীয় দিনের খননকাজ আর হয়নি।
এদিকে গুপ্তধন খোঁজার কাজ যে শুধু বর্তমানে বাংলাদেশেই চালু রয়েছে এমনটা কিন্তু নই। অন্যান্য দেশেও শুরু হয়েছে এর তোড়জোর। তবে আমাদের মত তারা কিন্তু ব্যর্থ হয়নি! ঠিকই গুপ্তধন খুঁজে বের করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর সেন্ট মার্কস রোডে। সেখানে ৬৭০ কোটি টাকার গুপ্তধন উদ্ধার করা হয়েছে!
জানা গেছে, ওই এলাকাটিতে বাস করতো সব ধনীদের পরিবার। আর সেখানকার ব্যস্ততম সড়কের পাশে ছিল ধনীদের ক্লাব বোরিং ইনস্টিটিউট। আর সেই ক্লাবটি ছিল পরিত্যাক্ত এক বিশাল ভবনে। প্রায় ১৫০ বছর পুরনো। ভবনের মধ্যে ছিল কয়েকটি পরিত্যাক্ত কক্ষ। ওই কক্ষগুলোতে সাধারণত কেউ যেতে চাইতো না। আর সে কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিব্রত ছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
তবে মজার ব্যাপার হল ওই পরিত্যাক্ত কক্ষ গুলোতে ছিল কয়েকটি লকার। লকারগুলো কারো নামেও ছিল না। বারবার নোটিশ দেয়া হলেও ক্লাবের কোনো সদস্যই ওই লকার নিতে রাজি হননি। কি আর করার! অবশেষে সেগুলো পরিষ্কারের জন্য গত শুক্রবার বাধ্য হয়েই লকার ভাঙতে শুরু করেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু লকার ভেঙ্গে হতভম্ব হয়ে পড়েন তারা!
ক্লাবের ব্যাডমিন্টন কোর্টের তিনটি লকার ভেঙে পাওয়া যায় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৭০ কোটি টাকার সম্পদ। এর মধ্যে আছে জমির দলিল, স্বর্ণ ও হিরা, চার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা ও দুই কোটি ভারতীয় টাকা।
৬৯, ৭১ এবং ৭৮ নম্বরের লকারের মধ্যে এসব সম্পদ পাওয়া যায়। পরে অবশ্য স্থানীয় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী অবিনাশ অমরলাল কুকরেজা সম্পদের মালিকানা দাবি করেন। তবে তার দাবি এখনো বিশ্বাস করেনি স্থানীয় আয়কর বিভাগ। তারা সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে।