আরব আমিরাত প্রবাসীদের সুবিদার্থে নির্দেশনা গুলি তুলে ধরা হলো

সকলের সুবিদার্থে নির্দেশনা গুলি তুলে ধরা হলো:
ক) বৈধ ভিসা বিহীন প্রবাসী কর্মীরা ইচ্ছা করলে নতুন করে ভিসা লাগাতে পারবে।তবে সেই ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগকর্তা/ স্পোনসার লাগবে।পূর্ববর্তী স্পেনসার কর্তৃক তামীম বা এবসকন্ডিং রিপোর্ট ইমিগ্রেশন সিষ্টেম হতে তুলে দিবে।আমের বা তাসহিলের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে হবে এবং নির্ধারিত ফি দিতে হবে।ফাইন বা জরিমানা দিতে হবেনা।

খ) কেউ যদি ইউএই ত্যাগ করে দেশে চলে যেতে চায়, কনস্যুলেট থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট পাসপোর্ট বা আউট পাস নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে তাকে এক্সিট পারমি ট নিতে হবে।এবং এক্সিট পারমিটের মেয়াদ থাকবে ১০ দিন।এই ক্ষেত্রে ফাইন বা জরিমানা দিতে হবেনা।
এবং কোন ধরনের নো ইন্ট্রি বেন্ড দিবেনা।পরবর্তীতে সে ভিসিট/ইমপলয়মেন্ট ভিসায় এই দেশে আসতে পারবে।

গ) আর যারা ইউএইতে অবৈধ অনুপ্রবেশ তথা ওমান বা ইরান কিংবা সমুদ্র পথে এসেছিল তাদের ক্ষেত্রে দু’ বছরের নোএন্ট্রি বেন্ড পড়বে।এই অনুপ্রবেশ কারীর মধ্যে প্রথমে রয়েছে পাকিস্তানী নাগরীক,দ্বিতীয় স্থানে আছে আফগানিস্তানের নাগরীক এবং তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশী নাগরীক।

“আপনার স্থিতি সংশোধন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আমিরাতে এমনেষ্টি বা সাধারণ ক্ষমা’র কার্যক্রম আরাম্ভ হতে যাচ্ছে।মেয়াদ কাল আগামী ০১ আগষ্ঠ ২০১৮ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত রাখা হয়েছে তবে পরবর্তীতে এর মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।

এবারে এমেনিস্টি বা সাধারণ ক্ষমাটি হচ্ছে দুবাইয়ের শাসক ও ইউএই এর প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম এর পক্ষ হতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।তিনি মনে করেন সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে সকলে যেন ডকুমেন্টেড হয়ে ভিসা লাগাতে পারে।সেই সাথে শিশুর চিকিৎসা,স্কুল ভর্তি এবং সকলে যেন ভিসা বাতা কা নিয়ে এ দেশে সুখে থাকতে পারে।তাছাড়া জেল জরি মানা ছাড়াই ইউএই ত্যাগ করে দেশ চলে যাবার সুযোগ টা যেন পায়।

এমিনিস্টি’কে কেন্দ্র করে দুবাই’র আল অভির ও শারজা হ ইমিগ্রেশনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন দেশের লেবার কাউন্সিলরদের সাথে এক জরুরি সভা গত ১৭ জুলাই ২০১৮ এবং ১৮ জুলাই ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনা রেল দুবাইয়ের লেবার কাউন্সিলার এস কে এম জাকির হোসেন’র উপস্থিতি ছিলেন।এই সময় আমিরাত সর কার কর্তৃক ইমিগ্রেশন দুটি এমিনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমার বেশ কিছু নির্দেশনা তুলে ধরেন।