বাংলাদেশের এই মসজিদটি নির্মাণ করতে কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে?জানলে চমকে যাবেন

ঢাকা শহরকে মসজিদের শহর বলা হয় ।ঢাকার অলিতে গলিতে সবখানে মসজিদ ।তেমনি বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে মসজিদের সমাহর দেখা যায়। অনেক জয়গায় দেখা যায় অকেন সুন্দর মসুজদ। এমনি একটি মসুজদ নির্মান করা হয়েছে ভোলায় জানা গেছে।

দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ জেলা ভোলায় নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত নয়নজুড়ানো স্থাপনা নিজাম-হাসিনা মসজিদ। এটি নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত। ভোলা শহরের উকিল পাড়ায় প্রায় দেড় একর জমির ওপর এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ শুক্রবার জুমআর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এ মসজিদটির শুভ উদ্বোধন করা হয়।

নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন দামি পাথর ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর কারুকার্জ দ্বারা নির্মিত দুই তলা বিশিষ্ট এ মসজিদে রয়েছে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা অজুখানা এবং নামাজের স্থান।

২০১০ সালের জুন মাস থেকে এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় ৫২ হাজার শ্রমিক মসজিদ নির্মাণের কাজে অংশ গ্রহণ করেছেন। আর্কিটেক্ট ফোরামের ডিজাইনার কামরুজ্জামান লিটন মসজিদটির দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন করেন।

মসজিদের স্থাপত্য প্রকৌশলী কামরুজ্জান লিটন জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্র উকিলপাড়ায় চার গম্বুজ বিশিষ্ট আধুনিক দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটির নির্মাণ কাজ ২০১০ সালের ১ জুন দেড় একর জমির ওপর শুরু হয়।

নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৯ ডিসেম্বর। মসজিদে ১২০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুইটি মিনারা রয়েছে। রয়েছে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। মসজিদের দুই পাশে আল্লাহু লেখা সম্বলিত দুইটি ফোয়ারা রয়েছে। মসজিদের চারিকে রয়েছে সৌন্দর্যমণ্ডিত ফুলের বাগান। এ ছাড়া নারীদের জন্য নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। নারীদের জন্য দুইটি অজুখানাসহ ৩২টি অজুখানা এবং দুইটি টয়লেটসহ ১০টি টয়লেট রয়েছে।

মুসলিম পাঠকদের জন্য একটি ইসলামী লাইব্রেরি ও একটি আধুনিক হিফজখানা স্থাপন করা হয়েছে। ইতকাফকারীদের জন্য একটি গোসলখানা রয়েছে। দরজা রয়েছে তিনটি। গেইট রয়েছে দুইটি। খতিব, ইমাম এবং মোয়াজ্জিনের জন্য দুইটি কক্ষ রয়েছে। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের জন্য রয়েছে অফিস।

মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে রাতে আলোকসজ্জায় সুসজ্জিত করা হয়েছে। অন্তত আড়াই শ মুসল্লি এ মসজিদে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানান স্থাপত্য প্রকৌশলী কামরুজ্জামান লিটন।

আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটি নির্মাণে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মসজিদের নির্মাতা নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমদ। তবে, অনেকের ধারণা মসজিদটি নির্মাণ করতে ৩০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে পারে।

এলকাবাসী জানান,মসজিদটি দেখার মত যা সবার মন কেড়ে নেয়।খুবই সুন্দর। মসজিদটি দেখতে দূর থেকে লোকজন ভিড় জমায় এটি এলাকার একটি গৌরব।