এই ঘটনাটি ঘটে কিশোরগঞ্জে । শারমিন কিশোরগঞ্জে একটা কলেজ থেকে HSC পরিক্ষা দিয়েছে।ধান শিক্ষিকার হাতে ছিল HSC পরীক্ষার রেজাল্ট ম্যাডাম এর হাতে তুলেদেন। ম্যাডাম রেজাল্টটা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন
উনি কান্না জর্জরিত কণ্ঠে জানালেন উনার কলেজ থেকে এই বছর শুধু একটা মেয়েই A+ পেয়েছে, সে হলো শারমিন! সে শধু A+ ই নয় পেয়েছে Golden A+ ! যে আজকে কলেজের এই সুনাম বয়ে এনেছে.সেই হতভাগি আর এই দুনিয়াতে নেই! কলেজ বন্ধ থাকার কারনে অনেকেই জানতে পারেনি। মেয়েটি গত ১লা জুলাই গঞ্জ থেকে অটো দিয়ে বাসায় আসার পথেরোড_এক্সিডেন্ট এ মারা যায়।কথাগুলো বলার সময় মনে হচ্ছিল, মেয়েটি উনার ছাত্রী নয়,যেন নিজের মেয়ের মৃত্যুর কথা বলছেন।দেখলাম সারি বেধে দাড়ানো প্রতিটা ছেলে মেয়ের চোখ ভিজে গেলো গাল বেয়ে পানি পরতে লাগলো, অনেকে দাঁড়ানো থেকে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে ! সবাই হাউ মাউ করে কান্না শুরু করে দিলো।
নিজেরা A+ পায় নাই, সেই দু:খে নয়,কলেজের সব চেয়ে # বড়_সম্পদটাই হারিয়ে ফেলেছে,হারিয়ে ফেলেছে নিজের সাথের বন্ধু কে, সহপাঠি কে….. খেলার সাথী কে…হারিয়ে ফেলেছে এক মেধাবী ছাত্রী কে,যার বাবা কিনা গুদারা_ঘাটের_মাঝি !নাই বাড়িতে পড়ার টেবিল, নাই ভালো স্যার এর কাছে পড়ার সামর্থ্য।সেই ১ কি.মি. দূর থেকে হেটে আসতো স্কুলে।যে কিনা মাজে মধ্যে ফেরিঘাটে পানি বিক্রি করেও SSC তে A+ পেয়েছিল ! যেটা ছিল সেই নতুন_স্কুলের_প্রথম কারো A+ পাওয়া !যার জন্য এই স্কুলের নামের পাশে বসাতে পেরেছিল, A+ সহ ১০০% পাশ সেই আজ দুনিয়াতে নেই !
SSC এর মত আজ hSC তেও কেউ A+ পায়নি,কিন্তু যে পেয়েছে সে আজ না ফেরার দেশে।এই কথা গুলা যখন ম্যাডামআবেগাপ্লুত হয়ে বলছিলেন জানিনা কিভাবে যেন চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।ত কষ্টে সে লেখা পড়া করছে, ভাবা যায়?সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে তার ও তার বাবার, আমাদেরই যদি এতটা খারাপ লাগে তাহলে ভেবে দেখুন তো শারমিনের বাবার কেমন লাগছে?