বর্তমানে স্বাবলম্বী না হয়ে কেউই বিয়ের দিকে এগোয় না। তাও আবার ছেলে-মেয়ে দুজনেই।যদিও বিয়ের সঠিক বা আসল বয়স নিয়ে মতভেদের শেষ নেই। তবুও অল্প বয়সে বিয়েও করতেই চাইছে না বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা। এদিকে মেয়েদের ২২-২৩ বছর বয়স হতে না হতেই তার বিয়ে দেওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন আত্মীয় স্বজন এবং পাড়াপ্রতিবেশীরা। মতপার্থক্য হলেও অল্প বয়সে অর্থাৎ প্রায় ২৫-২৬ বছর বয়সে বিয়ে সেরে ফেলতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।
ভাবছেন এরকম বলার কারণ কি? গবেষণা করে দেখা যে কারণগুলি জানা গেছে সেগুলি হলো- ১. ৩০ বছর পার করে বিয়ের পিঁড়িতে বসলে স্বাভাবিক ভাবেই বয়সের সাপেক্ষে অনেক গাম্ভীর্য এবং দায়িত্ববোধ চলে আসে ফলে বিয়ের মধুর সম্পর্ক অনেকটাই প্রভাবিত হয়। ২. এই বয়সে কোনোরকম আবেগ কাজ করেন ফলে ভালোবাসার মধুর সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতাও কমে আসে, কারণ পারিপার্শ্বিক চাপ বেড়ে যায়।
৩. বেশি বয়সে বিয়ে করলে সন্তান ধারনের চাপ শীঘ্রই চলে আসে যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর একসাথে সময় কাটানোর পরিমান খুবই কমে যায়। “কোয়ালিটি টাইম” স্পেন্ড করতে পারেননা তারা। তাই অল্প বয়সে বিয়ে করলে সন্তানধারণের চাপ এবং দায়িত্ব অনেকটাই কম হয়। সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়। ৪. ৩০-৩৫ বছর বয়স হলে স্বাবলম্বী হলেও এক সুখ-দুঃখ ভোগ করা অনেকটা একঘেয়েমির পর্যায়ে চলে যায়, অনেক সময় নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না রাখলে আপনি পুরোপুরি ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যেতে পারেন,
তাই স্বাবলম্বী হয়ে অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে আপনার সুখ-দুঃখ শেয়ার করে আনন্দে থাকুন। এতে দায়িত্ববোধ জন্মালেও মানসিক দিক থেকে আপনার সঙ্গী আপনাকে ভেঙে পড়তে দেবে না। ৫. বর্তমানে ডিভোর্সের সংখ্যাও ভালোই বেড়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে অল্প বয়সে সেরে ফেলা বিয়ে ভেঙে গেলেও সঠিক বয়সে আপনি নতুনভাবে জীবন শুরু করতে পারবেন যা বেশি বয়সে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তাই মোটামুটিভাবে যত তারাতারি সম্ভব বিয়েটা সেরে ফেলাই উত্তম।